ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 51

শেখ হাসিনার বিচার

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে মামলায় ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সকালেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলার শুনানি ও আদেশ বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, যা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে। এই আন্দোলন দমন করতে সরকারের পক্ষ থেকে চালানো হয় ব্যাপক সহিংসতা ও গুলিবর্ষণ, যাতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ নিহত হন। আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রীয় বৈষম্য, দমননীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদ।

সরকার পতনের পর ১৪ আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। তদন্ত শুরু হয় একই বছরের ১৪ অক্টোবর এবং ছয় মাস ২৮ দিনের তদন্ত শেষে গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালে।

এই ঘটনার পরপরই শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় এবং গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া প্রথম মামলাটি ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে “বিবিধ মামলা (মিস কেস)” হিসেবে।

২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে মামলায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকেও অভিযুক্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অভিযোগ আমলে নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (১ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অপর আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে মামলায় ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সকালেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলার শুনানি ও আদেশ বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করা হয়, যা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র ও জনতার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে। এই আন্দোলন দমন করতে সরকারের পক্ষ থেকে চালানো হয় ব্যাপক সহিংসতা ও গুলিবর্ষণ, যাতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ নিহত হন। আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রীয় বৈষম্য, দমননীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদ।

সরকার পতনের পর ১৪ আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। তদন্ত শুরু হয় একই বছরের ১৪ অক্টোবর এবং ছয় মাস ২৮ দিনের তদন্ত শেষে গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালে।

এই ঘটনার পরপরই শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় এবং গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া প্রথম মামলাটি ছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে “বিবিধ মামলা (মিস কেস)” হিসেবে।

২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে মামলায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকেও অভিযুক্ত করা হয়।