ঢাকা ০১:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় ১,২৫০ শিক্ষক ছাঁটাই, বিক্ষোভে উত্তাল উখিয়া

নুরুল বশর, উখিয়া (কক্সবাজার)
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 52

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় ১,২৫০ শিক্ষক ছাঁটাই, বিক্ষোভে উত্তাল উখিয়া

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এনজিও পরিচালিত শিক্ষাকেন্দ্রগুলো থেকে হঠাৎ করে ১,২৫০ জন স্থানীয় শিক্ষককে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ব্র্যাক, কোডেক, ফ্রেন্ডশিপ, মুক্তি, কোস্ট ফাউন্ডেশন ও জেসিএফসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য স্থানীয় ও রোহিঙ্গা—উভয় সম্প্রদায়ের শিক্ষকদের নিয়োগ দিলেও হঠাৎ করে ‘অর্থ সংকট’-এর অজুহাতে শুধু স্থানীয়দের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা শিক্ষকরা বহাল আছেন। আরও প্রায় ৩ হাজার স্থানীয় শিক্ষক ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

এক শিক্ষক মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, “আমরাও রোহিঙ্গা শিক্ষকদের মতো কাজ করতে সক্ষম। অথচ শুধু আমাদের বাদ দেওয়া হলো—এটি চরম বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত।”

বিক্ষোভকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ার করেন, দাবি না মানলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওর যান চলাচলে বাধা দেওয়া হবে এবং উখিয়া-টেকনাফে এনজিও কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, “যদি প্রকৃত অর্থেই বাজেট সংকট থাকে, তবে শুধুমাত্র স্থানীয়দের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালানো অন্যায়। এ অবস্থায় পুরো প্রকল্পই বন্ধ করা উচিত।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মিজানুর রহমান বলেন, “বাজেট সংকট প্রকল্প বন্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এ বিষয়ে রোববার (১ জুন) ইউনিসেফের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্থানীয় ১,২৫০ শিক্ষক ছাঁটাই, বিক্ষোভে উত্তাল উখিয়া

আপডেট সময় : ১১:৩৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে এনজিও পরিচালিত শিক্ষাকেন্দ্রগুলো থেকে হঠাৎ করে ১,২৫০ জন স্থানীয় শিক্ষককে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে উখিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ব্র্যাক, কোডেক, ফ্রেন্ডশিপ, মুক্তি, কোস্ট ফাউন্ডেশন ও জেসিএফসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য স্থানীয় ও রোহিঙ্গা—উভয় সম্প্রদায়ের শিক্ষকদের নিয়োগ দিলেও হঠাৎ করে ‘অর্থ সংকট’-এর অজুহাতে শুধু স্থানীয়দের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা শিক্ষকরা বহাল আছেন। আরও প্রায় ৩ হাজার স্থানীয় শিক্ষক ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

এক শিক্ষক মোহাম্মদ শামীম হোসেন বলেন, “আমরাও রোহিঙ্গা শিক্ষকদের মতো কাজ করতে সক্ষম। অথচ শুধু আমাদের বাদ দেওয়া হলো—এটি চরম বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত।”

বিক্ষোভকারীরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে হুঁশিয়ার করেন, দাবি না মানলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওর যান চলাচলে বাধা দেওয়া হবে এবং উখিয়া-টেকনাফে এনজিও কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ার জাহান চৌধুরী বলেন, “যদি প্রকৃত অর্থেই বাজেট সংকট থাকে, তবে শুধুমাত্র স্থানীয়দের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালানো অন্যায়। এ অবস্থায় পুরো প্রকল্পই বন্ধ করা উচিত।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মিজানুর রহমান বলেন, “বাজেট সংকট প্রকল্প বন্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এ বিষয়ে রোববার (১ জুন) ইউনিসেফের সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”