বাংলাদেশর মানুষ ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় : আমিনুল হক

- আপডেট সময় : ১০:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
- / 44

বাংলাদেশের মানুষ চায় আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন হোক—বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক, সাবেক সাফজয়ী ফুটবলার আমিনুল হক।
আজ শনিবার (৩১ মে) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তরের পল্লবীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড, রূপনগর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড, দোয়ারীপাড়া, ৬ নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণখান থানা, উত্তরা পশ্চিম থানা ও ভাষাণটেক থানার বিভিন্ন স্পটে অসহায় ও দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার এবং শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমিনুল হক বলেন, “এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা বারবার আহ্বান জানিয়েছি—তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন দেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, গত ১৭ বছর স্বৈরাচারী সরকার যেমন টালবাহানা করেছিল, আজকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও ঠিক সেই স্বৈরাচারের মতো আচরণ করছে। বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনের সব রাজনৈতিক দল এবং দেশের মানুষ চায়—আগামী ডিসেম্বরের ভেতরেই নির্বাচন হোক।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফরে গিয়ে একমাত্র একটি দল ছাড়া অন্য কোনো দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় না—এমন মন্তব্য করেছেন। তা সম্পূর্ণ সত্য নয় বলে দাবি করে আমিনুল হক বলেন, “শুধু বিএনপি নয়, বিএনপির সাথে যুগপৎ আন্দোলনের সকল রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন সংগঠন, সুশীল সমাজ এবং সাধারণ জনগণও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।”
তিনি বলেন, “এই নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে। সেই সরকারই পারবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করতে, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করতে। বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা আওয়ামী অপশক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে।”
নির্বাচনের প্রসঙ্গে আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তারা এখন সেই ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। গত ১৭ বছর তারা আন্দোলন করেছে, সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। সেই নির্বাচনের জন্যই তারা এখন অপেক্ষা করছে।”

সংস্কার ও স্বৈরাচারের বিচারের প্রসঙ্গে সরকারের প্রতি অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “আপনারা সংস্কারের কথা বলছেন, কিন্তু বাস্তবে আপনারা সংস্কারের কাছেও নেই। আপনারা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের কথা বলছেন, কিন্তু আপনারা সে দিকেও এগোচ্ছেন না। কারণ আপনাদের ভেতরে স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রকারীরা ঢুকে গেছে। আপনারা স্বৈরাচারীদের কথা শুনছেন, জনগণের কথা শুনছেন না।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু সংস্কার করেছিলেন। আজকের যে সংস্কারের প্রয়োজন, তা এসেছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ ও রাজনৈতিককরণের কারণে। জিয়াউর রহমান সেই সময় বাংলাদেশকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে ১৯ দফার কর্মসূচি দিয়েছিলেন। আর আজকের কঠিন রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা’ উপস্থাপন করেছেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশের মানুষ তার পূর্ণ নাগরিক অধিকার ফিরে পাবে।”
তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে “আধুনিক বাংলাদেশের জনক” হিসেবেও অভিহিত করে বলেন, “আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে, সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছি—এবং ভবিষ্যতেও করে যাব।”
উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আফাজ উদ্দিন আফাজ, মাহবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী, মোতালেব হোসেন রতন, আব্দুস সালাম সরকার, সাজ্জাদ হোসেন, দক্ষিণখান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হেলাল তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম বাবলু, দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন জমিদার, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ গাজী, মোকছেদুর রহমান আবির, রূপনগর থানা বিএনপির আহ্বায়ক জহিরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জি. মজিবুল হক, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন শিশির, ভাষাণটেক থানা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাদির, পল্লবী থানা ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, রূপনগর থানা ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মামুন, সাধারণ সম্পাদক খোকন মাদবর, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সেলিম, পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি হাজী নূর সালাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, রূপনগর থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাঈম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল রূপনগর থানার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদুল আলম টুটুল, ছাত্রদল রূপনগর থানার সাধারণ সম্পাদক কাওছার মল্লিক প্রমুখ।