ঢাকা ০২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাবিতে প্রকাশ্যে এলো বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
  • / 55

ঢাবিতে প্রকাশ্যে এলো বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দীর্ঘ এক যুগ পর প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বুধবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানকে দেওয়া এক স্মারকলিপির মাধ্যমে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি প্রকাশ পায়।

ঢাবি শাখা সংগঠনের সভানেত্রী হলেন সাবিকুন্নাহার তামান্না, যিনি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন মোছা. আফসানা আক্তার, যিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। উভয়েই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। এর মাধ্যমেই সংগঠনটির প্রকাশ্য কার্যক্রম শুরু হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের সহজলভ্যতা, পর্যাপ্ত কমনরুম, নামাজের জায়গা, ওযুখানা, মাতৃত্বকালীন সহযোগিতা, আবাসন সংকট নিরসন, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে হলে প্রবেশাধিকার, যৌন হয়রানি মুক্ত ক্যাম্পাস এবং হলভিত্তিক ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থার দাবি উপস্থাপন করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান প্রতিনিধিদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

শাখা সংগঠনের সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। তবে ৫ আগস্টের পর কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে আমরা কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীসংস্থার প্রাথমিক কাঠামো গঠন সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে সভানেত্রী ও সেক্রেটারির দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিয়ে কার্যক্রম বিস্তৃত করব।”

সাধারণ সম্পাদক আফসানা আক্তার বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ ছাত্রী সংগঠন। ১৯৭৮ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রীসংস্থার রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। অতীতে আমরা ডাকসুতেও অংশগ্রহণ করেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আজকের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা নতুন করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আশাবাদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও সম্মানজনক পরিবেশ তৈরিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে ইনশাআল্লাহ। নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার ও কল্যাণে ছাত্রীসংস্থার ভূমিকা আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঢাবিতে প্রকাশ্যে এলো বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা

আপডেট সময় : ১১:৫১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫

দীর্ঘ এক যুগ পর প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বুধবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানকে দেওয়া এক স্মারকলিপির মাধ্যমে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি প্রকাশ পায়।

ঢাবি শাখা সংগঠনের সভানেত্রী হলেন সাবিকুন্নাহার তামান্না, যিনি উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থী। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন মোছা. আফসানা আক্তার, যিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। উভয়েই ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। এর মাধ্যমেই সংগঠনটির প্রকাশ্য কার্যক্রম শুরু হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের সহজলভ্যতা, পর্যাপ্ত কমনরুম, নামাজের জায়গা, ওযুখানা, মাতৃত্বকালীন সহযোগিতা, আবাসন সংকট নিরসন, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জরুরি প্রয়োজনে হলে প্রবেশাধিকার, যৌন হয়রানি মুক্ত ক্যাম্পাস এবং হলভিত্তিক ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থার দাবি উপস্থাপন করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান প্রতিনিধিদের বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

শাখা সংগঠনের সভানেত্রী সাবিকুন্নাহার তামান্না বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়নি। তবে ৫ আগস্টের পর কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে আমরা কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, এই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীসংস্থার প্রাথমিক কাঠামো গঠন সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে সভানেত্রী ও সেক্রেটারির দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আমরা দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিয়ে কার্যক্রম বিস্তৃত করব।”

সাধারণ সম্পাদক আফসানা আক্তার বলেন, “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ ছাত্রী সংগঠন। ১৯৭৮ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রীসংস্থার রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। অতীতে আমরা ডাকসুতেও অংশগ্রহণ করেছি। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আজকের কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা নতুন করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা আশাবাদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও সম্মানজনক পরিবেশ তৈরিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে ইনশাআল্লাহ। নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার ও কল্যাণে ছাত্রীসংস্থার ভূমিকা আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।”