আল আকসায় নিয়ন্ত্রণ হারানোর শঙ্কায় মুসলমানরা

- আপডেট সময় : ১১:২১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
- / 57

পবিত্র আল আকসা মসজিদে ইহুদিদের প্রার্থনার অনুমতি দিয়েছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতমার বেন গাভির। তাঁর এই সিদ্ধান্ত মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (২৬ মে) আল আকসার চত্বর—যা ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের কাছে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত—পরিদর্শনকালে বেন গাভির ঘোষণা দেন, “এখন থেকে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা এখানে সেজদা দেওয়াসহ পূর্ণাঙ্গ প্রার্থনা করতে পারবে।” তিনি আরও বলেন, “আজ ঈশ্বরের কৃপায় এখানে প্রার্থনা করা সম্ভব হলো—এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের।”
বেশ কিছুদিন ধরে ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী নেতাদের দ্বারা আল আকসার স্থিতিবস্থা পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। বেন গাভিরের এ ঘোষণা সেই উদ্বেগকে আরও তীব্র করেছে।
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম ও ওল্ড সিটি দখল করে ইসরায়েল। এরপর থেকে আল আকসা মসজিদের প্রশাসনিক দায়িত্ব রয়েছে জর্ডানের ওয়াকফ বোর্ডের হাতে। এক সমঝোতা অনুযায়ী, মসজিদ চত্বরে মুসলমানরা প্রার্থনা করতে পারে, অন্য ধর্মাবলম্বীরা সেখানে যেতে পারলেও প্রার্থনা করতে পারে না।
ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বহু বছর ধরে এই স্থিতিবস্থা বজায় ছিল। বেন গাভিরের ঘোষণাকে অনেকেই এই চুক্তির প্রকাশ্য লঙ্ঘন হিসেবে দেখছেন।
ইসরায়েলি পতাকা নিয়ে এদিন হাজারো ইহুদি পুরাতন শহরে মিছিল করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলের আগে ফিলিস্তিনি দোকানদারদের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়। যাঁরা দুপুরের পরও দোকান খোলা রেখেছিলেন, তাঁদের অনেকেই হয়রানির মুখে দোকান বন্ধ করে দেন।
ফিলিস্তিনিরা পূর্ব জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে। আল আকসার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান নিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্তে তারা ইসরায়েলের দখলদারিত্বকেই আরও নির্লজ্জ ও আগ্রাসী হিসেবে দেখছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত শুধু উত্তেজনা বাড়াবে না, বরং সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলবে পুরো অঞ্চলে।