ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৭:১২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 75

তারেক রহমান

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৫ মে) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই মন্তব্য করেন। ভিডিওটি তার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেন, বিএনপির অবস্থান হলো—ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া দরকার। এই লক্ষ্যে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপি ও অন্যান্য আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের জনগণ শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ একটি দক্ষ, গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বের অধীনে এই নির্বাচন দেখতে চায়।

তারেক রহমান আরও বলেন, অতীতে স্বৈরাচারী শাসনের সময় রাজনীতি, গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর যে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, এনপিপিও তার বাইরে ছিল না। এখনকার পরিবেশ তুলনামূলকভাবে বেশি মুক্ত হলেও সাবধান থাকতে হবে, যেন অতীতের সেই স্বৈরশাসন আর ফিরে না আসে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন দুটি দিক থেকে সংস্কার—একটি সাংবিধানিক বা আইনগত, অন্যটি বাস্তবভিত্তিক বা প্রয়োগযোগ্য সংস্কার। পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে কার্যকর বাস্তব সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমান জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তার ভাষায়, সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে গঠিত সংসদ ও সরকারই প্রকৃত জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারে। এতে রাষ্ট্রের নাগরিকরা ক্ষমতাবান হন এবং সরকার ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করতে পারে না।

তিনি বলেন, সরকার যদি জবাবদিহি না করে, তবে তা নিজের অজান্তেই স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে—সে সরকার অন্তর্বর্তী হোক, তত্ত্বাবধায়ক হোক বা নির্বাচিত। তাই সরকারের সমালোচনা করাকে দায়িত্ব হিসেবে নিতে হবে নাগরিকদের। হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে জনগণের ন্যায্য দাবিতে সোচ্চার থাকতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, সরকারের উচিত জনগণের কথা শোনা এবং তাদের দাবি মেনে চলা। এখানে সরকারের অভিমান বা রাগের জায়গা নেই। কারণ, জনগণ সরকারের অনুগ্রহপ্রার্থী নয়—তারা রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান

আপডেট সময় : ০৭:১২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রোববার (২৫ মে) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই মন্তব্য করেন। ভিডিওটি তার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়।

তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। তিনি স্পষ্ট করেন, বিএনপির অবস্থান হলো—ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া দরকার। এই লক্ষ্যে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপি ও অন্যান্য আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন অব্যাহত থাকবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের জনগণ শিগগিরই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ একটি দক্ষ, গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বের অধীনে এই নির্বাচন দেখতে চায়।

তারেক রহমান আরও বলেন, অতীতে স্বৈরাচারী শাসনের সময় রাজনীতি, গণতন্ত্র এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর যে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে, এনপিপিও তার বাইরে ছিল না। এখনকার পরিবেশ তুলনামূলকভাবে বেশি মুক্ত হলেও সাবধান থাকতে হবে, যেন অতীতের সেই স্বৈরশাসন আর ফিরে না আসে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন দুটি দিক থেকে সংস্কার—একটি সাংবিধানিক বা আইনগত, অন্যটি বাস্তবভিত্তিক বা প্রয়োগযোগ্য সংস্কার। পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে কার্যকর বাস্তব সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তারেক রহমান জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তার ভাষায়, সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়ে গঠিত সংসদ ও সরকারই প্রকৃত জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারে। এতে রাষ্ট্রের নাগরিকরা ক্ষমতাবান হন এবং সরকার ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করতে পারে না।

তিনি বলেন, সরকার যদি জবাবদিহি না করে, তবে তা নিজের অজান্তেই স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারে—সে সরকার অন্তর্বর্তী হোক, তত্ত্বাবধায়ক হোক বা নির্বাচিত। তাই সরকারের সমালোচনা করাকে দায়িত্ব হিসেবে নিতে হবে নাগরিকদের। হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে জনগণের ন্যায্য দাবিতে সোচ্চার থাকতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, সরকারের উচিত জনগণের কথা শোনা এবং তাদের দাবি মেনে চলা। এখানে সরকারের অভিমান বা রাগের জায়গা নেই। কারণ, জনগণ সরকারের অনুগ্রহপ্রার্থী নয়—তারা রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক।