চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না, সংস্কার করতে চাচ্ছি : প্রেস সচিব

- আপডেট সময় : ০১:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
- / 48

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা সংস্কার করতে চাচ্ছি। বন্দর কাউকে দিচ্ছি না।
রোববার (২৫ মে) রাজধানীতে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো যেন চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারে—আমরা সেই সুযোগ তৈরি করতে চাই। আমরা বন্দর কারও কাছে হস্তান্তর করছি না। বরং চাই, তারা নির্দিষ্ট টার্মিনালে বিনিয়োগ করুক, সেগুলো পরিচালনা করুক। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে।”
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, “আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে যাবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “আগের অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ ছিল কেবল নির্বাচন আয়োজন। তবে বর্তমান সরকার নির্বাচন ছাড়াও বিচার ও সংস্কার কাজও চালিয়ে যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৪ তারিখ চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। এই বন্দরকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত করা সম্ভব নয়। প্রথম দিন থেকেই চেষ্টা করছি কীভাবে এটিকে আধুনিক ও কার্যকরভাবে গড়ে তোলা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক দেশেই ২০-৩০টি টার্মিনাল নিয়ে গঠিত আধুনিক বন্দর রয়েছে। আর আমরা এখনো এক-দুইটি টার্মিনাল নিয়ে কথা বলছি। এতেই বোঝা যায়, আমাদের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড কতটা দুর্বল। এটি শক্তিশালী করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।”
প্রধান উপদেষ্টার এসব বক্তব্যের পর চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা ও গুজব ছড়িয়ে পড়ে। অনেক রাজনৈতিক দল বন্দর বিদেশিদের কাছে হস্তান্তরের আশঙ্কা প্রকাশ করে এর বিরোধিতা করছে। কেউ কেউ এর প্রতিবাদে রাস্তায়ও নেমেছে।
তবে প্রেস সচিবের বক্তব্যে স্পষ্ট করা হয়েছে, বন্দর কাউকে দেওয়া হচ্ছে না, বরং বিনিয়োগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে সংস্কারের কাজ চলছে।