আন্দোলন স্থগিত করেছেন ইশরাক

- আপডেট সময় : ০৭:৫০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
- / 62

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথগ্রহণের দাবিতে চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তাদের আচরণ ও পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ইশরাক বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক দল, যারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। হাইকোর্টের রায় শোনার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপাতত আন্দোলন স্থগিত থাকবে। তবে সরকার কীভাবে রায় বাস্তবায়ন করে, সেটি আমরা আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব।”
তিনি অভিযোগ করেন, হাইকোর্টে একটি ভুয়া রিট দায়ের করে তাকে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত “আইনের শাসনের জয়” হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইশরাক আরও বলেন, “সরকার যদি আদালতের রায় বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ করে, তাহলে কাল সকালেই আবার আমরা কাকরাইলে অবস্থান নেব। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে নয়, আদালতের আদেশ অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই।”
জনদুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এই কর্মসূচির কারণে জনগণ ভোগান্তির শিকার হয়েছে। এজন্য আমি এবং আমাদের দল সাধারণ জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। শুরুতে আন্দোলনের পরিকল্পনা ছিল না, কিন্তু সরকারের কর্মকাণ্ড আমাদের এই পথে যেতে বাধ্য করেছে।”
তিনি তার পূর্বঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “বর্তমান সরকারে থাকা দুজন ছাত্র প্রতিনিধি, যারা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সংগঠক হিসেবে কাজ করছে, তাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। রায় কার্যকর হলেও আমাদের মূল দাবি এখনো বহাল রয়েছে।”
ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, “তিনি একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, কিন্তু তার আশপাশে থাকা কিছু ব্যক্তির অপতৎপরতা নিয়ে উদ্বিগ্ন আমরা। তাদের চিহ্নিত করে অপসারণ করে একটি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে।”
বুধবার সকাল থেকে ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা কাকরাইলে অবস্থান নিয়ে তাকে শপথ পড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেন। বৃহস্পতিবারও সেখানে উপস্থিত থেকে তারা স্লোগান দিতে থাকেন— “যমুনারে যমুনা শপথ ছাড়া যাব না”, “এই মুহূর্তে দরকার নির্বাচিত সরকার”, “দফা এক দাবি এক—নির্বাচিত সরকার” ইত্যাদি।
ইশরাক হোসেন শেষ পর্যন্ত বলেন, “যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। আমরা একে একে ধাপ অতিক্রম করে চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। এই আন্দোলনের কৃতিত্ব তৃণমূল নেতাকর্মীদের, যারা পরিশ্রম করে আন্দোলনকে সফল করেছেন এবং জনগণের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করেছেন।”