ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিঝুমদ্বীপে নিরাপদ পানির দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিনিধি, হাতিয়া (নোয়খালী)
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 20

নিঝুমদ্বীপে নিরাপদ পানির দাবিতে মানববন্ধন

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর দ্বীপাঞ্চল নিঝুমদ্বীপে নিরাপদ ও সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ বুধবার সকালে নিঝুমদ্বীপ বাজারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিপরীতে এখানকার মানুষের জীবনযাপন চরম দুর্ভোগে ভরা। বিশেষ করে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। বর্তমানে অধিকাংশ নলকূপের পানিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দ্বীপে কোনো গভীর নলকূপ নেই। ফলে বাধ্য হয়ে বর্ষা মৌসুমে পুকুর ও ডোবার পানি সংরক্ষণ করে সারা বছর ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এসব পানির কোনো প্রকার ফিল্টারিং বা বিশুদ্ধকরণের ব্যবস্থা না থাকায় তা পান করলে নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। সরকার যদি অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে দ্বীপের মানুষকে আরও ভয়াবহ সংকটে পড়তে হবে, যার প্রভাব পড়বে শিশুদের স্বাস্থ্য, নারীদের নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানের ওপর।

অবিলম্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, নিরাপদ পানি পাওয়া নাগরিক অধিকার। অথচ দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে বছরের পর বছর নিঝুমদ্বীপের মানুষ সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। দ্বীপে গভীর নলকূপ স্থাপন, আধুনিক পানি ফিল্টারিং প্লান্ট নির্মাণ, পানি সংরক্ষণের টেকসই ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন,আমাদের এখানে খাবার পানির খুব কষ্ট। অনেকে অনেক দূর থেকে কলসি ভরে পানি এনে ব্যবহার করে। বিশেষ করে বাচ্চারা ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছে।

মানববন্ধন শেষে একটি লিখিত স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর প্রদান করা হয়, যাতে নিরাপদ পানির দাবিতে স্থানীয়দের স্বাক্ষরসহ জরুরি ব্যবস্থাপনার অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লেখ্য, নিঝুমদ্বীপে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। বর্ষা ও জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল এই দ্বীপে অবকাঠামোগত উন্নয়ন অপ্রতুল। সুপেয় পানির চরম সংকটের কারণে দ্বীপবাসীর জীবনমান দিন দিন নাজুক হয়ে পড়ছে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নিঝুমদ্বীপে নিরাপদ পানির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৩:১৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

নোয়াখালীর দ্বীপাঞ্চল নিঝুমদ্বীপে নিরাপদ ও সুপেয় পানির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আজ বুধবার সকালে নিঝুমদ্বীপ বাজারে আয়োজিত এই মানববন্ধনে নারী-পুরুষ, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিপরীতে এখানকার মানুষের জীবনযাপন চরম দুর্ভোগে ভরা। বিশেষ করে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। বর্তমানে অধিকাংশ নলকূপের পানিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দ্বীপে কোনো গভীর নলকূপ নেই। ফলে বাধ্য হয়ে বর্ষা মৌসুমে পুকুর ও ডোবার পানি সংরক্ষণ করে সারা বছর ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এসব পানির কোনো প্রকার ফিল্টারিং বা বিশুদ্ধকরণের ব্যবস্থা না থাকায় তা পান করলে নানা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। সরকার যদি অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে দ্বীপের মানুষকে আরও ভয়াবহ সংকটে পড়তে হবে, যার প্রভাব পড়বে শিশুদের স্বাস্থ্য, নারীদের নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানের ওপর।

অবিলম্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, নিরাপদ পানি পাওয়া নাগরিক অধিকার। অথচ দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে বছরের পর বছর নিঝুমদ্বীপের মানুষ সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। দ্বীপে গভীর নলকূপ স্থাপন, আধুনিক পানি ফিল্টারিং প্লান্ট নির্মাণ, পানি সংরক্ষণের টেকসই ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন,আমাদের এখানে খাবার পানির খুব কষ্ট। অনেকে অনেক দূর থেকে কলসি ভরে পানি এনে ব্যবহার করে। বিশেষ করে বাচ্চারা ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন অসুখে ভুগছে।

মানববন্ধন শেষে একটি লিখিত স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর প্রদান করা হয়, যাতে নিরাপদ পানির দাবিতে স্থানীয়দের স্বাক্ষরসহ জরুরি ব্যবস্থাপনার অনুরোধ জানানো হয়।

উল্লেখ্য, নিঝুমদ্বীপে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। বর্ষা ও জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভরশীল এই দ্বীপে অবকাঠামোগত উন্নয়ন অপ্রতুল। সুপেয় পানির চরম সংকটের কারণে দ্বীপবাসীর জীবনমান দিন দিন নাজুক হয়ে পড়ছে