ঢাকা ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাজারীবাগে ১০ যুবক গ্রেপ্তার

টিকটক ভিডিওর ক্যামেরার জন্য ফটোগ্রাফারকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 65

টিকটক ভিডিওর ক্যামেরার জন্য ফটোগ্রাফারকে হত্যা

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর হাজারীবাগে ফটোগ্রাফার নূরুল ইসলামকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ ও পরিকল্পনার রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও ছিনতাইকৃত ক্যামেরাও উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলো—মো. নাঈম আহমেদ (২০), মো. শাহীন আকন্দ ওরফে শাহিনুল (২০), মো. শাহীন চৌকিদার (২২), মো. রহিম সরকার (১৯), মো. নয়ন আহমেদ (১৯), রিদয় মাদবর (১৮), মো. আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজা (১৯), মো. আনোয়ার হোসেন (১৯), মো. শহিদুল ইসলাম (২০) এবং মো. আরমান (১৮)। এদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানী ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে হাজারীবাগ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, রামদা, বড় ছোরা এবং ছিনতাইকৃত দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহত নূরুল ইসলাম “Nurislam Photographer” নামের একটি ফেসবুক পেইজ চালাতেন। গত ১৬ মে সন্ধ্যায় তাকে একটি ভুয়া বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি তোলার কথা বলে জাফরাবাদ এলাকায় ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা। আগেই ৫০০ টাকা বিকাশে অগ্রিম পাঠিয়ে তারা বিশ্বাস অর্জন করে। শংকর বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি অটোরিকশায় করে নূরুলকে নেওয়া হয় জাফরাবাদ পুলপার এলাকায়, যেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল ১০ জন হামলাকারী।

সেখানে পৌঁছামাত্রই নূরুলের ওপর হামলা চালানো হয়। তার সহযোগী ইমন পালিয়ে যেতে পারলেও নূরুল ইসলামকে ধারালো চাপাতি ও ছোরা দিয়ে মাথা, ঘাড়, হাত ও আঙুলে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। পরে তার ক্যামেরা ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ওসমান গনি হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই টিকটক ভিডিও তৈরিতে আসক্ত। উন্নতমানের ভিডিও বানাতে ডিএসএলআর ক্যামেরার প্রয়োজন ছিল তাদের। সে উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ফটোগ্রাফার নূরুল ইসলামকে হত্যা করে তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাজারীবাগে ১০ যুবক গ্রেপ্তার

টিকটক ভিডিওর ক্যামেরার জন্য ফটোগ্রাফারকে হত্যা

আপডেট সময় : ০২:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

রাজধানীর হাজারীবাগে ফটোগ্রাফার নূরুল ইসলামকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ ও পরিকল্পনার রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও ছিনতাইকৃত ক্যামেরাও উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলো—মো. নাঈম আহমেদ (২০), মো. শাহীন আকন্দ ওরফে শাহিনুল (২০), মো. শাহীন চৌকিদার (২২), মো. রহিম সরকার (১৯), মো. নয়ন আহমেদ (১৯), রিদয় মাদবর (১৮), মো. আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজা (১৯), মো. আনোয়ার হোসেন (১৯), মো. শহিদুল ইসলাম (২০) এবং মো. আরমান (১৮)। এদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানী ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে হাজারীবাগ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, রামদা, বড় ছোরা এবং ছিনতাইকৃত দুটি ডিএসএলআর ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নিহত নূরুল ইসলাম “Nurislam Photographer” নামের একটি ফেসবুক পেইজ চালাতেন। গত ১৬ মে সন্ধ্যায় তাকে একটি ভুয়া বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি তোলার কথা বলে জাফরাবাদ এলাকায় ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা। আগেই ৫০০ টাকা বিকাশে অগ্রিম পাঠিয়ে তারা বিশ্বাস অর্জন করে। শংকর বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি অটোরিকশায় করে নূরুলকে নেওয়া হয় জাফরাবাদ পুলপার এলাকায়, যেখানে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল ১০ জন হামলাকারী।

সেখানে পৌঁছামাত্রই নূরুলের ওপর হামলা চালানো হয়। তার সহযোগী ইমন পালিয়ে যেতে পারলেও নূরুল ইসলামকে ধারালো চাপাতি ও ছোরা দিয়ে মাথা, ঘাড়, হাত ও আঙুলে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। পরে তার ক্যামেরা ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ওসমান গনি হাজারীবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই টিকটক ভিডিও তৈরিতে আসক্ত। উন্নতমানের ভিডিও বানাতে ডিএসএলআর ক্যামেরার প্রয়োজন ছিল তাদের। সে উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে ফটোগ্রাফার নূরুল ইসলামকে হত্যা করে তারা।