ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি : নিরাপত্তা উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 62

নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলকেন্দ্রিক মানবিক করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, করিডোর নিয়ে আমাদের কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি এবং এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হবে না। আগে করিডোর ব্যাপারটা বুঝতে হবে। করিডোর হচ্ছে, একটা ইমারজেন্সি সময়ে দুর্যোগপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে কাউকে সরাচ্ছি না। আমরা যেটা করছি সেটা হচ্ছে, যেহেতু আরাকানে সাহায্য সহযোগিতা অন্যান্য সাপ্লাইডোর দিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘ আমাদের এইটুকু বলল, আপনারা আমাদের এইটুকু সহযোগিতা করেন যাতে আমরা সাহায্যগুলো এ জায়গা দিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

তিনি আরও বলেন, “আরাকানে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াই এখন মূল বিষয়। করিডোর স্থাপনের মতো পরিস্থিতি সেখানে নেই। করিডোর সাধারণত লোকজনের যাতায়াতের জন্য তৈরি হয়—কিন্তু এখানে তা একেবারেই প্রযোজ্য নয়।”

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো চুক্তি, সমঝোতা বা আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও আসেনি।
“আপনারা চাইলে জাতিসংঘে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন—আমরা করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনা করিনি। যেটা বাস্তবে নেই, সেটা নিয়ে আলোচনা করব কী করে?”

রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেখানে এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাই আমরা প্রত্যাবাসনের পূর্বশর্তে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। এই বাস্তবতায় করিডোরের প্রশ্নই আসে না।”

এর আগে গত ৪ মে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেছিলেন,
“আমরা করিডোর নয়, মানবিক সহায়তার একটি ‘চ্যানেল’ নিয়ে কাজ করছি। করিডোর এবং চ্যানেলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। করিডোর শব্দটি এখানে প্রযোজ্য নয়।”

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে রাখাইনের সংঘাতপীড়িত এলাকায় মানবিক ত্রাণ পাঠানো নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচকরা মনে করছেন, এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে সরকার বারবার বলছে, এটি কেবল মানবিক সহায়তার জন্য এবং কোনো সামরিক বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি : নিরাপত্তা উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৩:১৭:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলকেন্দ্রিক মানবিক করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, করিডোর নিয়ে আমাদের কারও সঙ্গে কোনো কথা হয়নি এবং এ বিষয়ে কারও সঙ্গে কোনো কথা হবে না। আগে করিডোর ব্যাপারটা বুঝতে হবে। করিডোর হচ্ছে, একটা ইমারজেন্সি সময়ে দুর্যোগপূর্ণ জায়গা থেকে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা।

তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে কাউকে সরাচ্ছি না। আমরা যেটা করছি সেটা হচ্ছে, যেহেতু আরাকানে সাহায্য সহযোগিতা অন্যান্য সাপ্লাইডোর দিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘ আমাদের এইটুকু বলল, আপনারা আমাদের এইটুকু সহযোগিতা করেন যাতে আমরা সাহায্যগুলো এ জায়গা দিয়ে নিয়ে যেতে পারি।

তিনি আরও বলেন, “আরাকানে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াই এখন মূল বিষয়। করিডোর স্থাপনের মতো পরিস্থিতি সেখানে নেই। করিডোর সাধারণত লোকজনের যাতায়াতের জন্য তৈরি হয়—কিন্তু এখানে তা একেবারেই প্রযোজ্য নয়।”

নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো চুক্তি, সমঝোতা বা আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও আসেনি।
“আপনারা চাইলে জাতিসংঘে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন—আমরা করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনা করিনি। যেটা বাস্তবে নেই, সেটা নিয়ে আলোচনা করব কী করে?”

রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেখানে এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাই আমরা প্রত্যাবাসনের পূর্বশর্তে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। এই বাস্তবতায় করিডোরের প্রশ্নই আসে না।”

এর আগে গত ৪ মে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেছিলেন,
“আমরা করিডোর নয়, মানবিক সহায়তার একটি ‘চ্যানেল’ নিয়ে কাজ করছি। করিডোর এবং চ্যানেলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। করিডোর শব্দটি এখানে প্রযোজ্য নয়।”

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে রাখাইনের সংঘাতপীড়িত এলাকায় মানবিক ত্রাণ পাঠানো নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচকরা মনে করছেন, এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে সরকার বারবার বলছে, এটি কেবল মানবিক সহায়তার জন্য এবং কোনো সামরিক বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়।