তিনি আরও বলেন, “আরাকানে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াই এখন মূল বিষয়। করিডোর স্থাপনের মতো পরিস্থিতি সেখানে নেই। করিডোর সাধারণত লোকজনের যাতায়াতের জন্য তৈরি হয়—কিন্তু এখানে তা একেবারেই প্রযোজ্য নয়।”
নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে কোনো চুক্তি, সমঝোতা বা আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও আসেনি।
“আপনারা চাইলে জাতিসংঘে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন—আমরা করিডোর নিয়ে কোনো আলোচনা করিনি। যেটা বাস্তবে নেই, সেটা নিয়ে আলোচনা করব কী করে?”
রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেখানে এখনো অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাই আমরা প্রত্যাবাসনের পূর্বশর্তে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারিনি। এই বাস্তবতায় করিডোরের প্রশ্নই আসে না।”
এর আগে গত ৪ মে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেছিলেন,
“আমরা করিডোর নয়, মানবিক সহায়তার একটি ‘চ্যানেল’ নিয়ে কাজ করছি। করিডোর এবং চ্যানেলের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। করিডোর শব্দটি এখানে প্রযোজ্য নয়।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে রাখাইনের সংঘাতপীড়িত এলাকায় মানবিক ত্রাণ পাঠানো নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচকরা মনে করছেন, এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তবে সরকার বারবার বলছে, এটি কেবল মানবিক সহায়তার জন্য এবং কোনো সামরিক বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়।