ঢাকা ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস ও মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্ধার মহড়া

নুরুল বশর, উখিয়া (কক্সবাজার)
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 43

কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস ও মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্ধার মহড়া

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের দরিয়ানগর পয়েন্টে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর মধ্যে চার দিনব্যাপী একটি যৌথ উদ্ধার মহড়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধার অভিযানের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সমন্বিতভাবে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।

১৮ থেকে ২১ মে পর্যন্ত চলা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন সদস্য। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল, যাদের মধ্যে ছিলেন ক্যাপ্টেন রায়ান রে, মাস্টার সার্জেন্ট ক্রিস্টোফার টমস, স্টাফ সার্জেন্ট টেইলর টিলার, এবং সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস টাইলার কিম্বলার।

প্রশিক্ষণের প্রথম দুই দিন দরিয়ানগর পয়েন্টে এবং তৃতীয় দিন হোটেল শৈবালের সুইমিং পুলে সকাল ৯টা ৩০ থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের শেখানো হয় জলে ভেসে থাকা দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার, জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামের কার্যকর ব্যবহার, এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক করণীয়সহ নানা কৌশল। ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মধ্যে ছিল ক্যারাবিনার, লাইফ জ্যাকেট, ভাসমান নৌকা ও উদ্ধার দড়ি।

কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস ও মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্ধার মহড়া
কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস ও মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্ধার মহড়া

২১ মে চূড়ান্ত মহড়ার মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। এদিন অংশগ্রহণকারী সদস্যদের মাঝে প্রশিক্ষণ সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

তবে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। কিছু পক্ষ বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থান নেয়।

প্রশিক্ষণ আয়োজক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, এতে করে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম আরও কার্যকর ও আধুনিক হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস ও মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্ধার মহড়া

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের দরিয়ানগর পয়েন্টে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর মধ্যে চার দিনব্যাপী একটি যৌথ উদ্ধার মহড়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই মহড়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগে উদ্ধার অভিযানের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সমন্বিতভাবে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।

১৮ থেকে ২১ মে পর্যন্ত চলা এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের ১৫ জন সদস্য। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল, যাদের মধ্যে ছিলেন ক্যাপ্টেন রায়ান রে, মাস্টার সার্জেন্ট ক্রিস্টোফার টমস, স্টাফ সার্জেন্ট টেইলর টিলার, এবং সার্জেন্ট ফার্স্ট ক্লাস টাইলার কিম্বলার।

প্রশিক্ষণের প্রথম দুই দিন দরিয়ানগর পয়েন্টে এবং তৃতীয় দিন হোটেল শৈবালের সুইমিং পুলে সকাল ৯টা ৩০ থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের শেখানো হয় জলে ভেসে থাকা দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার, জীবনরক্ষাকারী সরঞ্জামের কার্যকর ব্যবহার, এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক করণীয়সহ নানা কৌশল। ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির মধ্যে ছিল ক্যারাবিনার, লাইফ জ্যাকেট, ভাসমান নৌকা ও উদ্ধার দড়ি।

কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস ও মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্ধার মহড়া
কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিস ও মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্ধার মহড়া

২১ মে চূড়ান্ত মহড়ার মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে। এদিন অংশগ্রহণকারী সদস্যদের মাঝে প্রশিক্ষণ সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

তবে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। কিছু পক্ষ বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থান নেয়।

প্রশিক্ষণ আয়োজক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তারা আশা প্রকাশ করেন, এতে করে জরুরি উদ্ধার কার্যক্রম আরও কার্যকর ও আধুনিক হবে।