আবার বাসে ডাকাতি, নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি

- আপডেট সময় : ০২:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
- / 76

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে আবারও ভয়াবহ বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২০ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার (২১ মে) ভোর ৫টা পর্যন্ত প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে একদল ডাকাত একটি যাত্রীবাহী বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যাত্রীদের সর্বস্ব লুটে নেয়। এ সময় নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহনের একটি বাস রংপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল ও আশুলিয়া থেকে যাত্রীরা উঠেন। বাসটিতে প্রায় ১০ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন।
বাসের সহকারী আতিকুর রহমান জানান, বাসটি রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা অতিক্রম করে। এরপর যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তে পৌঁছালে যাত্রীবেশে থাকা ৮-১০ জন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের কাছ থেকে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রী ও স্টাফদের চোখ-মুখ বেঁধে ফেলেন তারা। বাসটি ঘুরিয়ে তারা ঢাকার দিকেই ফিরে চলতে থাকে এবং সারা রাত টাঙ্গাইল থেকে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া এলাকায় কয়েক দফা ঘুরে বেড়ায়।
বাসের চালক আবেদ আলী জানান, ডাকাতেরা বারবার বাসটি নিয়ে টাঙ্গাইল ও সাভার এলাকায় চক্কর দেয় এবং প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে মুঠোফোন, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেয়।
যাত্রী জুয়েল মিয়া জানান, ছিনতাইয়ের সময় নারী যাত্রীদের দেহ তল্লাশির নামে শ্লীলতাহানি করা হয়। চোখ বাঁধা অবস্থায় তিনি কান্নাকাটি ও মিনতির শব্দ শুনতে পান। অপর যাত্রী আকাশ মিয়া বলেন, ডাকাতেরা প্রত্যেক যাত্রীকে একাধিকবার তল্লাশি করে এবং কিছুই বাকী রাখে না।
ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে টাঙ্গাইল শহরের বাইপাস এলাকার শিবপুরে বাসটি ফেলে ডাকাত দল সরে পড়ে। পরে বাসের যাত্রী ও চালক টাঙ্গাইল সদর থানায় যান।
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমদ বলেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং ডাকাতদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি একই মহাসড়কে ইউনিক রয়েলস পরিবহনের একটি বাসে একই ধরনের ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০২২ সালের ২ আগস্ট কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রী ধর্ষণের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।