ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের বাইরে রাখতে হবে : আমিনুল হক

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • / 86

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের বাইরে রাখতে হবে : আমিনুল হক

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের বাইরে রাখতে হবে। তিনি জানান, বিএনপি জনগণের ভোটে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে ভবিষ্যতে কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ বা রাজনৈতিক প্রভাব থাকবে না।

সোমবার (১২ মে) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ‘জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’-এর উদ্বোধনী খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হয় কাফরুল থানা ও রূপনগর থানা।

আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছরে একটি স্বৈরাচারী সরকার দেশের সব রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দলীয়করণ করে ফেলে দিয়েছে। চাকরিতে আবেদনকারী ব্যক্তির পরিবারের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হতো তারা আওয়ামী লীগ করে কিনা। পরিবারের কোনো সদস্য বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকলে, তাদের চাকরি হতো না।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন চাইলে তারা নানা অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। কেউ রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলে, কেউ আবার স্বৈরাচারবিরোধী বিচারের কথা বলে। অথচ বিএনপি বহু আগেই সংস্কারের দাবি তুলেছে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তারা এ দাবি তুলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে। গত ১৭ বছরে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। আজ দেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। অথচ নির্বাচনের আহ্বান জানালেও অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিচ্ছে না।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে চাই। জনগণের কল্যাণই বিএনপির মূল রাজনীতি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই সত্যিকার অর্থে দেশকে সংস্কার করতে পারবে।”

প্রস্তুত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. আকতার হোসেন, হাজি মো. ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, শামীম পারভেজ, হাফিজুল হাসান শুভ্র, হাজি নাসির উদ্দিন, আকরামুল হক আকরাম, সাব্বির দেওয়ান জনি, এসএম আনসার আলী, মো. শাহাদাত হোসেন, জহিরুল হক, ইঞ্জি. মজিবুল হক, আলী আহমেদ রাজু, শেখ হাবিবুর রহমান, খায়রুল কবির নয়ন, এম আশরাফুল ইসলাম, হাজি মো. রতন মিয়া, শফিকুর রহমান মামুন, হাজি আব্দুল মতিন, হাজি দেলোয়ার হোসেন দুলু, মীর মো. কামাল হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের বাইরে রাখতে হবে : আমিনুল হক

আপডেট সময় : ১১:০৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণের বাইরে রাখতে হবে। তিনি জানান, বিএনপি জনগণের ভোটে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে ভবিষ্যতে কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ বা রাজনৈতিক প্রভাব থাকবে না।

সোমবার (১২ মে) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ‘জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’-এর উদ্বোধনী খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী খেলায় মুখোমুখি হয় কাফরুল থানা ও রূপনগর থানা।

আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছরে একটি স্বৈরাচারী সরকার দেশের সব রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দলীয়করণ করে ফেলে দিয়েছে। চাকরিতে আবেদনকারী ব্যক্তির পরিবারের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হতো তারা আওয়ামী লীগ করে কিনা। পরিবারের কোনো সদস্য বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকলে, তাদের চাকরি হতো না।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন চাইলে তারা নানা অজুহাতে নির্বাচন পিছিয়ে দিচ্ছে। কেউ রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলে, কেউ আবার স্বৈরাচারবিরোধী বিচারের কথা বলে। অথচ বিএনপি বহু আগেই সংস্কারের দাবি তুলেছে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তারা এ দাবি তুলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ের রাজনীতি করে। গত ১৭ বছরে দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। আজ দেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। অথচ নির্বাচনের আহ্বান জানালেও অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দিচ্ছে না।”

বিএনপির এই নেতা বলেন, “আমরা একটি স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে চাই। জনগণের কল্যাণই বিএনপির মূল রাজনীতি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই সত্যিকার অর্থে দেশকে সংস্কার করতে পারবে।”

প্রস্তুত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, মো. আকতার হোসেন, হাজি মো. ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, শামীম পারভেজ, হাফিজুল হাসান শুভ্র, হাজি নাসির উদ্দিন, আকরামুল হক আকরাম, সাব্বির দেওয়ান জনি, এসএম আনসার আলী, মো. শাহাদাত হোসেন, জহিরুল হক, ইঞ্জি. মজিবুল হক, আলী আহমেদ রাজু, শেখ হাবিবুর রহমান, খায়রুল কবির নয়ন, এম আশরাফুল ইসলাম, হাজি মো. রতন মিয়া, শফিকুর রহমান মামুন, হাজি আব্দুল মতিন, হাজি দেলোয়ার হোসেন দুলু, মীর মো. কামাল হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।