ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না

প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে

১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না।” তিনি আজ শনিবার চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে ফখরুল জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।

সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “আজ আমরা এখানে তারুণ্যের সমাবেশ করছি, আরেকটি সমাবেশ চলছে ঢাকার নিউ মার্কেটে। সব আন্দোলনের একটাই মূল দাবি—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে, বাকশালের পুনর্জন্ম ঘটিয়েছে। অথচ দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গার্মেন্টস শিল্প, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা—এসবের সূচনা করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা এনেছিলেন খালেদা জিয়া। অথচ আজ এসবই বিস্মৃত। বিদেশ থেকে এসে বড় বড় কথা বললেই মানুষ ভুলে যাবে—তা হতে দেওয়া যাবে না।”

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তরুণ সমাজ শান্তিপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চায়, চাকরি ও ব্যবসার সুযোগ চায়। তারা একটি গণতান্ত্রিক সমাজ চায়, যেখানে সবাই নিজের মত প্রকাশ করতে পারবে। আজকের এই তারুণ্যের সমাবেশের মূল বার্তা—তরুণরা জেগে ওঠো, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করো।”

তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান এই দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন এবং তারেক রহমান চান একটি আধুনিক ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। তিনি বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে—সেটিই আজ বাস্তব হয়েছে।”

ফখরুল শহীদ ছাত্রনেতা ওয়াসিমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “ওয়াসিমের রক্তের বিনিময়ে আমাদের নতুন স্বাধীনতার সূচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, তাকে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

সমাবেশস্থলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ বাসে, কেউ ট্রাকে করে আসেন। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে অনেকেই মিছিলের মাধ্যমে পলোগ্রাউন্ডে পৌঁছান। অনেকে আবার টাইগারপাস মোড়ে জড়ো হয়ে বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না

আপডেট সময় : ১১:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে চায় না।” তিনি আজ শনিবার চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে ফখরুল জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।

সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, “আজ আমরা এখানে তারুণ্যের সমাবেশ করছি, আরেকটি সমাবেশ চলছে ঢাকার নিউ মার্কেটে। সব আন্দোলনের একটাই মূল দাবি—আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তারা দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে, বাকশালের পুনর্জন্ম ঘটিয়েছে। অথচ দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গার্মেন্টস শিল্প, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা—এসবের সূচনা করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা এনেছিলেন খালেদা জিয়া। অথচ আজ এসবই বিস্মৃত। বিদেশ থেকে এসে বড় বড় কথা বললেই মানুষ ভুলে যাবে—তা হতে দেওয়া যাবে না।”

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তরুণ সমাজ শান্তিপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চায়, চাকরি ও ব্যবসার সুযোগ চায়। তারা একটি গণতান্ত্রিক সমাজ চায়, যেখানে সবাই নিজের মত প্রকাশ করতে পারবে। আজকের এই তারুণ্যের সমাবেশের মূল বার্তা—তরুণরা জেগে ওঠো, নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করো।”

তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমান এই দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন এবং তারেক রহমান চান একটি আধুনিক ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। তিনি বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে—সেটিই আজ বাস্তব হয়েছে।”

ফখরুল শহীদ ছাত্রনেতা ওয়াসিমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “ওয়াসিমের রক্তের বিনিময়ে আমাদের নতুন স্বাধীনতার সূচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, তাকে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

সমাবেশস্থলে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ বাসে, কেউ ট্রাকে করে আসেন। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে অনেকেই মিছিলের মাধ্যমে পলোগ্রাউন্ডে পৌঁছান। অনেকে আবার টাইগারপাস মোড়ে জড়ো হয়ে বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান নাজিম।