অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা

- আপডেট সময় : ১১:২২:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে

দেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার রাত ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “আজ উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেন। এরপর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ হাজারো আন্দোলনকারী যমুনার সামনে অবস্থান নেন।
পরদিন শুক্রবার বাদ জুমা প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনের সামনে বড় জমায়েত করে আন্দোলনকারীরা। মঞ্চ নির্মাণ করে বিভিন্ন বক্তৃতা ও স্লোগানের মাধ্যমে তারা সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। বিকেলে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করেন তারা।
সরকার শুরুতে এক বিবৃতিতে জানায়, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ওঠা স্বৈরশাসন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দলটির সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত থাকায় সরকার বিষয়টি আরও গভীরভাবে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইতোমধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী এনে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের বিষয়েও সরকার সচেতন রয়েছে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয়।
আন্দোলনের চাপে শনিবারও শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন আন্দোলনকারীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই সরকার চূড়ান্তভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।