ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৪ মে টিউলিপ সিদ্দিককে দুদকে তলব

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে

১৪ মে টিউলিপ সিদ্দিককে দুদকে তলব

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর এবার তার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ রিজওয়ান সিদ্দিককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড থেকে ‘ঘুষ’ হিসেবে একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।

৭ মে পাঠানো দুদকের একটি নোটিশে টিউলিপকে আগামী ১৪ মে সকাল ১০টায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তাকে সরাসরি আসামি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হচ্ছে। দুদকের এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে টিউলিপের ধানমন্ডি ও গুলশান-২ এলাকার ঠিকানায়।

একই মামলায় রাজউকের সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান ও সর্দার মোশাররফ হোসেনকেও একই তারিখে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকার গুলশানে ১ বিঘা ১৯ কাঠা ১৩ ছটাক আয়তনের একটি প্লট ১৯৬৩ সালে বরাদ্দ পান তৎকালীন বিচারপতি ইমাম হোসেন চৌধুরী। সরকারি চুক্তি অনুযায়ী, ওই প্লট ৯৯ বছরের মধ্যে হস্তান্তর বা ভাগ করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে প্লটটি ভাগ হয়ে বিক্রি হয় এবং ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড সেখানে ভবন নির্মাণ শুরু করে।

জহুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার সন্তানদের মধ্যে বিরোধ শুরু হলে মামলা হয়। মামলার চলমান অবস্থায় এবং সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজউকের কিছু কর্মকর্তা ইস্টার্ন হাউজিংকে ‘আমমোক্তার’ অনুমোদন দিয়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের অনুমতি দেন। এতে ‘লিজ হোল্ডার’ না হয়েও কোম্পানিটি ৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করে বিক্রি করে।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, এই অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে টিউলিপ সিদ্দিক ‘ঘুষ’ হিসেবে একটি ফ্ল্যাট বিনামূল্যে গ্রহণ করেন। তাকে অভিযোগ করা হয়েছে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ইস্টার্ন হাউজিংকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার এবং নিজেরাও ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়ার জন্য। ফলে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪০৯, ১৬১-১৬৫(ক) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

এই মামলার তদন্ত করছেন দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি সাত সদস্যের টিম। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এস এম রাশেদুল হাসান, এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত আরও একটি মামলায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সে মামলায় অভিযোগ রয়েছে, তিনি খালা শেখ হাসিনার ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করে অন্যদের পক্ষে সুবিধা আদায় করেছিলেন, যদিও তিনি নিজে সেখানে কোনো প্লট গ্রহণ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

১৪ মে টিউলিপ সিদ্দিককে দুদকে তলব

আপডেট সময় : ০১:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পর এবার তার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ রিজওয়ান সিদ্দিককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড থেকে ‘ঘুষ’ হিসেবে একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।

৭ মে পাঠানো দুদকের একটি নোটিশে টিউলিপকে আগামী ১৪ মে সকাল ১০টায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, তাকে সরাসরি আসামি হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হচ্ছে। দুদকের এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে টিউলিপের ধানমন্ডি ও গুলশান-২ এলাকার ঠিকানায়।

একই মামলায় রাজউকের সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান ও সর্দার মোশাররফ হোসেনকেও একই তারিখে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকার গুলশানে ১ বিঘা ১৯ কাঠা ১৩ ছটাক আয়তনের একটি প্লট ১৯৬৩ সালে বরাদ্দ পান তৎকালীন বিচারপতি ইমাম হোসেন চৌধুরী। সরকারি চুক্তি অনুযায়ী, ওই প্লট ৯৯ বছরের মধ্যে হস্তান্তর বা ভাগ করা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে প্লটটি ভাগ হয়ে বিক্রি হয় এবং ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড সেখানে ভবন নির্মাণ শুরু করে।

জহুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার সন্তানদের মধ্যে বিরোধ শুরু হলে মামলা হয়। মামলার চলমান অবস্থায় এবং সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাজউকের কিছু কর্মকর্তা ইস্টার্ন হাউজিংকে ‘আমমোক্তার’ অনুমোদন দিয়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের অনুমতি দেন। এতে ‘লিজ হোল্ডার’ না হয়েও কোম্পানিটি ৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করে বিক্রি করে।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, এই অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে টিউলিপ সিদ্দিক ‘ঘুষ’ হিসেবে একটি ফ্ল্যাট বিনামূল্যে গ্রহণ করেন। তাকে অভিযোগ করা হয়েছে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ইস্টার্ন হাউজিংকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার এবং নিজেরাও ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়ার জন্য। ফলে তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪০৯, ১৬১-১৬৫(ক) ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

এই মামলার তদন্ত করছেন দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি সাত সদস্যের টিম। দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এস এম রাশেদুল হাসান, এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত আরও একটি মামলায় টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সে মামলায় অভিযোগ রয়েছে, তিনি খালা শেখ হাসিনার ওপর ‘চাপ’ প্রয়োগ করে অন্যদের পক্ষে সুবিধা আদায় করেছিলেন, যদিও তিনি নিজে সেখানে কোনো প্লট গ্রহণ করেননি।