ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন হচ্ছে মোংলা উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব

- আপডেট সময় : ১২:৫৭:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

১৭ বছর পর আবারও মোংলা উপজেলা বিএনপির নেতা নির্বাচন হচ্ছে মোংলা উপজেলা বিএনপিতে। আজ বুধবার (৭ মে) অনুষ্ঠিত হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। দলীয় নেতৃত্ব বাছাইকে কেন্দ্র করে গোটা উপজেলায় বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। দীর্ঘদিন পর ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে প্রাণচাঞ্চল্যের ঢেউ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মিঠাখালী ইউনিয়নের টাটিবুনিয়া স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে তিনটি পদে সরাসরি ভোট গ্রহণ চলছে। এই পদগুলো হল—সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক।
এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে লড়ছেন সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান হাওলাদার। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবু হোসেন হাওলাদার (পনি), শেখ রুস্তুম আলী, জাকির হোসেন ঝংকার ফকির এবং মৃধা নজরুল ইসলামের ছেলে মৃধা ফখরুল ইসলাম।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন সুব্রত মজুমদার, সাকির হোসেন, মৃধা তরিকুল ইসলাম, ফারুক মৃধা এবং শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জনি।
উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৪২৬ জন। এই ভোটারেরা এবার নিজস্ব নেতৃত্ব নির্ধারণ করবেন।
উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ড, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম, সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, জেলা বিএনপির সমন্বয়ক এম এ সালাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা মনি এবং জেলা ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মোংলা থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা বিএনপির কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা চলছিল। সরকার পতনের পর বিএনপিকে সংগঠিত করে শক্তিশালী করতে তৎপর হন কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা। এরপর দলের ঘোষণায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি হয়, শুরু হয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ।
যদিও শুরুতে অন্য তারিখে সম্মেলন নির্ধারিত ছিল, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলনের কারণে তারিখ পিছিয়ে আজকের দিনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘ ১৭ বছরে তারা এমন গণতান্ত্রিক পন্থায় সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারেননি। এবার প্রশাসনিক বাধা না থাকায় সবাই স্বাধীনভাবে প্রার্থী ও ভোটার হিসেবে অংশ নিতে পারছেন। এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দলের পাশাপাশি অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও।
ভোটগ্রহণ শেষে আজ সন্ধ্যার মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তখনই বিজয়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেবেন সমর্থকরা।
দ্বিবার্ষিক এই সম্মেলনের পর মোংলা পৌরসভা বিএনপির কাউন্সিলের সময়ও শিগগিরই নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দলীয় নেতারা।