নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি ১৩ মে

- আপডেট সময় : ১২:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের শুনানি আগামী ১৩ মে (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ তারিখ নির্ধারণ করেন। শুনানির দ্রুততর আবেদন জানান জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ আপিল বিভাগে এই মামলার শুনানি শুরু হলেও এরপর তা আর এগোয়নি। এর আগে ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর খারিজ হওয়া পুরনো আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এর ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাওয়ার আইনি পথ আবারও উন্মুক্ত হয়।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ. সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। অন্যদিকে, রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।
এরও আগে, ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আবেদনের শুনানির জন্য ২২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
মূলত ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিটের রায়ে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও দলটিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করে নিবন্ধন বাতিল করে।
জামায়াত ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেও, ২০২৪ সালের নভেম্বরে শুনানিতে প্রধান আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ছয় বিচারপতির বেঞ্চ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজ করে দেয়। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে এবং দলটির নিবন্ধন অবৈধ থেকে যায়।
এদিকে, ২০২৪ সালের ১ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। তবে ওই বছরের ২৮ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকেই ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সব মিলিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের সক্রিয়তা ও আইনি অবস্থান নিয়ে আবারও গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিচ্ছে বিষয়টি।