ফিরছেন ৫ মে
বিমানের বিশেষ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন খালেদা জিয়া

- আপডেট সময় : ১২:৫১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

দীর্ঘ পাঁচ মাস চিকিৎসা শেষে আগামী ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তবে এই যাত্রায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ব্যবস্থার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। অন্যান্য যাত্রীদের ভোগান্তি চান না বলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তার জন্য নিয়মিত রুট লন্ডন-সিলেট-ঢাকা পরিবর্তন করে লন্ডন-ঢাকা-সিলেট করার প্রস্তাব দেয়। এতে ঢাকায় সরাসরি অবতরণ করে তাকে নামিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে খালেদা জিয়া এই সুবিধা গ্রহণে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ২ মে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বলেন, “অন্য যাত্রীদের কোনো ধরনের হয়রানি বা অসুবিধা হোক—এটা তিনি চান না। তাই প্রস্তাবিত রুট পরিবর্তনের বিষয়টি তিনি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।”
খালেদা জিয়া নিয়মিত ফ্লাইটেই ফিরবেন। বাংলাদেশ বিমানের একটি নির্ধারিত ফ্লাইট ৪ মে লন্ডন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওনা দিয়ে ৫ মে সকালে দেশে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে।
তার আগমনে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার দুই পুত্রবধূও দেশে ফিরতে পারেন।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাকে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতেও রাখা হয়েছিল।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিল রোগে ভুগছেন। দেশে থাকা অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। দুই বছর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান। এরপর প্রতি ছয় মাস অন্তর মুক্তির মেয়াদ নবায়ন করে সরকার। তবে গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নির্বাহী আদেশেই সম্পূর্ণ মুক্তি লাভ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক অঙ্গনের দুই দিকেই তার দেশে ফেরা এখন গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।