ঢাকা ০৮:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকছেন ডা. জোবায়দা

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকছেন ডা. জোবায়দা

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চার মাস চিকিৎসা ও বিশ্রামে কাটিয়ে আগামী সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। লন্ডনে চিকিৎসা শেষে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, “ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে তিনি সোমবার ঢাকায় ফিরবেন।”

বেগম জিয়ার সঙ্গে থাকছেন তার দুই পুত্রবধূ—ডা. জোবায়দা রহমান (তারেক রহমানের স্ত্রী) ও সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি (আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী)। এছাড়া সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন তার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা ডা. আমিনুল হক চৌধুরী, ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান এবং দুই গৃহপরিচারিকা—ফাতেমা বেগম ও রূপা হক।

সূত্র জানিয়েছে, দেশে ফেরার পর ডা. জোবায়দা রহমান ধানমন্ডির পৈতৃক বাসায় অবস্থান করবেন।

বেগম জিয়াকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বিশেষ ব্যবস্থায় আনা হচ্ছে। যদিও পুরোপুরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পাচ্ছেন না, তবে চিকিৎসা নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন লন্ডনে অবস্থানরত তার চিকিৎসক দল এবং পরিবার। গোটা ব্যবস্থাপনার দেখভাল করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বেগম জিয়া নানা ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তার লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ ও আর্থ্রাইটিস রয়েছে। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি হন তিনি। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে শর্ত ছিল বিদেশ যাওয়া যাবে না।

এরপর বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হলেও, পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার তা অনুমোদন দেয়নি। গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন এলে, অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমতিতে তিনি গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান। সেখানে প্রায় এক দশক পর বড় ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান।

লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসজনিত জটিলতা চিহ্নিত করে ‘টিপস’ নামে একটি চিকিৎসাপদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। পাশাপাশি হার্টের স্টেন্টিং পর্যবেক্ষণ ও কিডনি জটিলতা নিয়েও চিকিৎসা দেওয়া হয়। করোনা পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতাও ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

সম্প্রতি লন্ডন থেকে ডা. জাহিদ হোসেন জানান, “ম্যাডাম এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় আছেন এবং চিকিৎসকরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। বর্তমানে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে থাকছেন ডা. জোবায়দা

আপডেট সময় : ১২:২৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

চার মাস চিকিৎসা ও বিশ্রামে কাটিয়ে আগামী সোমবার (৫ মে) দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। লন্ডনে চিকিৎসা শেষে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, “ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় ভালো। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে তিনি সোমবার ঢাকায় ফিরবেন।”

বেগম জিয়ার সঙ্গে থাকছেন তার দুই পুত্রবধূ—ডা. জোবায়দা রহমান (তারেক রহমানের স্ত্রী) ও সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি (আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী)। এছাড়া সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন তার চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা ডা. আমিনুল হক চৌধুরী, ব্যক্তিগত সহকারী মাসুদুর রহমান এবং দুই গৃহপরিচারিকা—ফাতেমা বেগম ও রূপা হক।

সূত্র জানিয়েছে, দেশে ফেরার পর ডা. জোবায়দা রহমান ধানমন্ডির পৈতৃক বাসায় অবস্থান করবেন।

বেগম জিয়াকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বিশেষ ব্যবস্থায় আনা হচ্ছে। যদিও পুরোপুরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পাচ্ছেন না, তবে চিকিৎসা নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন লন্ডনে অবস্থানরত তার চিকিৎসক দল এবং পরিবার। গোটা ব্যবস্থাপনার দেখভাল করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বেগম জিয়া নানা ধরনের জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তার লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা, হৃদরোগ ও আর্থ্রাইটিস রয়েছে। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাবন্দি হন তিনি। পরে সরকারের নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে শর্ত ছিল বিদেশ যাওয়া যাবে না।

এরপর বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হলেও, পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকার তা অনুমোদন দেয়নি। গত ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন এলে, অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমতিতে তিনি গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান। সেখানে প্রায় এক দশক পর বড় ছেলে তারেক রহমান ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান।

লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসজনিত জটিলতা চিহ্নিত করে ‘টিপস’ নামে একটি চিকিৎসাপদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। পাশাপাশি হার্টের স্টেন্টিং পর্যবেক্ষণ ও কিডনি জটিলতা নিয়েও চিকিৎসা দেওয়া হয়। করোনা পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতাও ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

সম্প্রতি লন্ডন থেকে ডা. জাহিদ হোসেন জানান, “ম্যাডাম এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় আছেন এবং চিকিৎসকরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। বর্তমানে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল।”