ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর

“পদ ফিরে না পেলে স্বেচ্ছায় জেলে যাব”

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

আলোচিত এনসিপি নেতা গাজীকে সাময়িক অব্যাহতি

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। পাঠ্যবই ছাপার কাজে কমিশন বাণিজ্য এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

২১ এপ্রিল এনসিপির দপ্তর শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তানভীরকে জানানো হয়, কেন তাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গাজী সালাউদ্দিন তানভীর বলেন, “আমি অভিযুক্ত নই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যদি আমার দলীয় পদ ফিরিয়ে না দেওয়া হয়, তবে আমি স্বেচ্ছায় আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করবো এবং সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করবো।”

তিনি দাবি করেন, সচিবালয়ে তার যাওয়া ছিল দায়িত্ববোধ থেকে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে। “আমি জীবনে মাত্র পাঁচবার সচিবালয়ে গেছি। একবার ছিল চাকরির প্রয়োজনে, বাকি চারবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়ে পাঠ্যবই ছাপার অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নিতে,” বলেন তিনি।

তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রসঙ্গে তানভীর বলেন, “স্যার নিজেই আমাদের বলেন সহযোগিতার কথা ভাবতে, কারণ বই ছাপার কাজে তখনও ক্ষমতাসীন দলের দোসরদের সিন্ডিকেট সক্রিয় ছিল।”

ডিসি নিয়োগে হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি সচিবালয়ে যাইনি কাউকে প্রভাবিত করতে। আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং পরবর্তী সচিব ড. মোখলেসুর রহমানের সঙ্গে দেখা করি দেশের স্বার্থে, যেন বিতর্কিত ব্যক্তি ডিসি না হন।”

সচিবালয়ের একটি ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি নাস্তার ছবি দিয়ে কেউ দোষী প্রমাণ হতে পারে না। আমি নিয়মিত সচিবালয়ে যাইনি, কেউ প্রমাণ দেখাক।”

ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের বিষয়ে তানভীর বলেন, “আমি মাঝে মাঝে একটি পাজেরো গাড়ি ব্যবহার করি, যা আমার এক পরিচিতজনের। এটিও কোনো অপকর্মের প্রমাণ নয়।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ভিত্তিতেই এনসিপির সৃষ্টি। ৫ আগস্টের আগের দমনমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই না। মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার।”

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “সঠিক তদন্ত হলে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হবে এবং আমি দলে আমার দায়িত্বে ফিরে যেতে পারবো।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর

“পদ ফিরে না পেলে স্বেচ্ছায় জেলে যাব”

আপডেট সময় : ১২:৫৭:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে দলটি। পাঠ্যবই ছাপার কাজে কমিশন বাণিজ্য এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপের অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

২১ এপ্রিল এনসিপির দপ্তর শাখার যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তানভীরকে জানানো হয়, কেন তাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গাজী সালাউদ্দিন তানভীর বলেন, “আমি অভিযুক্ত নই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যদি আমার দলীয় পদ ফিরিয়ে না দেওয়া হয়, তবে আমি স্বেচ্ছায় আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করবো এবং সরকারের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করবো।”

তিনি দাবি করেন, সচিবালয়ে তার যাওয়া ছিল দায়িত্ববোধ থেকে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে। “আমি জীবনে মাত্র পাঁচবার সচিবালয়ে গেছি। একবার ছিল চাকরির প্রয়োজনে, বাকি চারবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়ে পাঠ্যবই ছাপার অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নিতে,” বলেন তিনি।

তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রসঙ্গে তানভীর বলেন, “স্যার নিজেই আমাদের বলেন সহযোগিতার কথা ভাবতে, কারণ বই ছাপার কাজে তখনও ক্ষমতাসীন দলের দোসরদের সিন্ডিকেট সক্রিয় ছিল।”

ডিসি নিয়োগে হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি সচিবালয়ে যাইনি কাউকে প্রভাবিত করতে। আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং পরবর্তী সচিব ড. মোখলেসুর রহমানের সঙ্গে দেখা করি দেশের স্বার্থে, যেন বিতর্কিত ব্যক্তি ডিসি না হন।”

সচিবালয়ের একটি ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি নাস্তার ছবি দিয়ে কেউ দোষী প্রমাণ হতে পারে না। আমি নিয়মিত সচিবালয়ে যাইনি, কেউ প্রমাণ দেখাক।”

ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের বিষয়ে তানভীর বলেন, “আমি মাঝে মাঝে একটি পাজেরো গাড়ি ব্যবহার করি, যা আমার এক পরিচিতজনের। এটিও কোনো অপকর্মের প্রমাণ নয়।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ভিত্তিতেই এনসিপির সৃষ্টি। ৫ আগস্টের আগের দমনমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা ফিরিয়ে আনতে চাই না। মিথ্যা মামলা ও হয়রানির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার।”

গাজী সালাউদ্দিন তানভীর আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “সঠিক তদন্ত হলে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হবে এবং আমি দলে আমার দায়িত্বে ফিরে যেতে পারবো।”