ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যু দ্বিগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে

ডেঙ্গু

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেঙ্গুর মৌসুম শুরুর আগেই দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৩৬, সেখানে এপ্রিলেই তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৩-এ। একই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে দ্বিগুণ হারে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও জটিল রূপ নিতে পারে। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসি হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে এ সপ্তাহে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন রোগী।

একজন রোগীর স্বজন জানান, “জ্বর, বমি, মাথাব্যথার পর মুখ দিয়ে রক্ত আসে—অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়, তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।”

অন্য এক স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার যদি আগে থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিত, তাহলে আমার ছেলেকে আজ হাসপাতালে আসতে হতো না।”

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, “বর্তমান আবহাওয়া ডেঙ্গুবাহিত এডিস মশার প্রজনন ও রোগ বিস্তারের জন্য খুবই অনুকূল। দুই সিটি করপোরেশন যদি এখনই জোরালো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”

ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে এবার সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

ডেঙ্গু রোধে সময়োপযোগী উদ্যোগ এবং জনসচেতনতা বাড়ানো এখন সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যু দ্বিগুণ

আপডেট সময় : ১২:৩৪:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

ডেঙ্গুর মৌসুম শুরুর আগেই দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৩৬, সেখানে এপ্রিলেই তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৩-এ। একই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে দ্বিগুণ হারে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও জটিল রূপ নিতে পারে। রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসি হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে এ সপ্তাহে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন রোগী।

একজন রোগীর স্বজন জানান, “জ্বর, বমি, মাথাব্যথার পর মুখ দিয়ে রক্ত আসে—অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়, তাই হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।”

অন্য এক স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার যদি আগে থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিত, তাহলে আমার ছেলেকে আজ হাসপাতালে আসতে হতো না।”

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, “বর্তমান আবহাওয়া ডেঙ্গুবাহিত এডিস মশার প্রজনন ও রোগ বিস্তারের জন্য খুবই অনুকূল। দুই সিটি করপোরেশন যদি এখনই জোরালো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”

ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে এবার সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

ডেঙ্গু রোধে সময়োপযোগী উদ্যোগ এবং জনসচেতনতা বাড়ানো এখন সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।