অনুমতি ছাড়া হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা, সতর্ক করল ধর্ম মন্ত্রণালয়

- আপডেট সময় : ১২:৪১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

চলতি হজ মৌসুমে অনুমতি ছাড়া হজ পালনে বাংলাদেশিদের প্রতি কঠোরভাবে সতর্ক করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। হজ পারমিট ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা না করতে এবং ভিজিট ভিসায় মক্কা কিংবা পবিত্র স্থানসমূহে অবস্থান না করতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) এক সরকারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, সুষ্ঠু ও শৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা, হজযাত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষা এবং সৌদি আরবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিজিট ভিসাধারী কেউ যদি হজ পালনের চেষ্টা করে, কিংবা তাদের কোনোভাবে সহায়তা করা হয়—যেমন পৃষ্ঠপোষকতা, পরিবহন, হোটেল বা বাসায় আশ্রয় দেওয়া—তাহলে তা হজ বিধিমালার লঙ্ঘন হবে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বছর সৌদি সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, হজ পালনের জন্য বৈধ হজ পারমিট, মক্কায় নিবন্ধিত আবাসন প্রমাণপত্র (ইকামা) এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি বাধ্যতামূলক। এসব শর্ত পূরণ না করলে মক্কায় প্রবেশ বা হজ সম্পাদন করা যাবে না।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হজ পারমিট ছাড়া কেউ হজ পালনের চেষ্টা করলে তাকে ২০ হাজার সৌদি রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। যদি কেউ এই কাজে সহযোগিতা করে, তার জরিমানা হতে পারে এক লাখ রিয়াল পর্যন্ত। এমনকি অপরাধ প্রমাণিত হলে যানবাহন বাজেয়াপ্ত এবং বিদেশিদের সৌদি থেকে বহিষ্কার করে ১০ বছর নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হবে।
এই নিয়ম কার্যকর থাকবে ২৯ এপ্রিল (১ জিলকদ) থেকে ১০ জুন (১৪ জিলহজ) পর্যন্ত। বিশেষ করে ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে অবস্থানরতদের ওপর সর্বোচ্চ নজরদারি থাকবে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, “সৌদি সরকারের আইন-কানুন মান্য করা শুধু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য নয়, বরং বাংলাদেশ-সৌদি সম্পর্ক রক্ষার দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সৌদি আরবে প্রায় ৩৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত, যাদের মাধ্যমে আসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। তাই হজ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা রক্ষা করা জাতীয় স্বার্থের অংশ।”
ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেন, “হজ একটি দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচি এবং সৌদি আরবের নেতৃত্বে তা পরিচালিত হয়। পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা, আইন প্রয়োগ এবং সবার সহযোগিতা ছাড়া সফল হজ আয়োজন সম্ভব নয়। ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনাকে সফল করতে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
তিনি হজযাত্রী ও সাধারণ নাগরিকদের প্রতি সৌদি আরবের আইনকানুন কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানান এবং আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের জনগণ এ ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।