পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত

- আপডেট সময় : ১০:৫৮:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

‘অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি’র কারণে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন ঢাকা সফর স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঘোষণায় জানানো হয়, আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল তার নির্ধারিত বাংলাদেশ সফর আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সফরের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়।
সফর স্থগিতের পেছনে কাশ্মীরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী হামলার প্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ঘটনার নিন্দা জানায়।
এ হামলার পরপরই দিল্লি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে, যার মধ্যে রয়েছে: পাকিস্তানের নাগরিকদের ‘সার্ক ভিসা’ না দেওয়া, ওয়াঘা সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা, পাকিস্তানের নাগরিকদের দেওয়া ভিসা বাতিল ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ, ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মীদের ফিরিয়ে নেওয়া এবং সিন্ধু পানি চুক্তি থেকে ভারতের সরে আসা।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আজ (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানও একাধিক কূটনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি সাময়িক স্থগিত, ভারতীয়দের সার্ক ভিসা বাতিল (শুধু শিখ তীর্থযাত্রী ব্যতিক্রম), ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা, ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ, ভারতীয় সামরিক উপদেষ্টাদের ‘পারসনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা এবং ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা কমিয়ে ৩০-এ আনা।
এছাড়া পাকিস্তান ভারতের জন্য তাদের আকাশপথও বন্ধ করে দিয়েছে এবং প্রত্যক্ষ ও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করেছে।
তীব্র এই কূটনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনার মাঝে সীমান্ত এলাকায় ভারতের অস্ত্র মোতায়েন ও নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষার খবরও উঠে এসেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। এতে করে পুরো অঞ্চলজুড়েই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরও বেড়েছে।