ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারলো জিম্বাবুয়ে

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ৩১ বার পড়া হয়েছে

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারলো জিম্বাবুয়ে

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাত বছর পর আবারও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে হারাল জিম্বাবুয়ে, তাও রেকর্ড গড়ে। সিলেটে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে ক্রেইগ আরভিনের দল। এটি টেস্টে তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়, যা এর আগে ১৬২ রানের বেশি ছিল না।

এই জয়ের মাধ্যমে ২০১৮ সালের পর আবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে জয় পেল জিম্বাবুয়ে। সবশেষ তারা এই সিলেটেই স্বাগতিকদের হারিয়েছিল। আর টেস্ট ক্রিকেটে সামগ্রিকভাবে জিম্বাবুয়ের এটি প্রথম জয় ২০২১ সালের পর। তখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। এরপর টানা ১০ টেস্টে জয়হীন ছিল রোডেশিয়ানরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের চতুর্থ দিনে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। এক রান না করেই মুজারাবানির বলে কট বিহাইন্ড হন তিনি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ যোগ দিলেও বেশি সময় টিকতে পারেননি, ১১ রান করে আবারও মুজারাবানির শিকার হন।

এক প্রান্ত ধরে রাখলেও জাকের আলী অনিকও শেষপর্যন্ত সঙ্গীর অভাবে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হন। তিনি ৫৮ রান করেন। শেষ পর্যন্ত টাইগারদের ইনিংস থামে ২৫৫ রানে। ইনিংসে জিম্বাবুয়ের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন ব্লেসিং মুজারাবানি, একাই নেন ৬ উইকেট।

এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ১৯১ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে তোলে ২৭৩ রান, ফলে স্বাগতিকদের লিড দাঁড়ায় মাত্র ৮২ রান। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখনও বাংলাদেশের দিকেই ছিল, কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে তারা চেয়েছিল অন্তত ৩০০ রানের লিড নিতে। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

১৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে দারুণ শুরু এনে দেন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯৫ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও মাঝের চাপ সামলে শেষ পর্যন্ত ওয়েসলি মাধেভেরে ও রিচার্ড এনগারাভার ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। মাধেভেরে অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে, এনগারাভা ৪ রানে।

বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া তাইজুল ইসলাম নেন ২টি উইকেট। তবে বোলারদের এই লড়াই শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

এই হারের ফলে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের জন্য এটি শুধু একটি জয় নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার এক বড় উপলক্ষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারলো জিম্বাবুয়ে

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

সাত বছর পর আবারও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে হারাল জিম্বাবুয়ে, তাও রেকর্ড গড়ে। সিলেটে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে ক্রেইগ আরভিনের দল। এটি টেস্টে তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়, যা এর আগে ১৬২ রানের বেশি ছিল না।

এই জয়ের মাধ্যমে ২০১৮ সালের পর আবারও বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে জয় পেল জিম্বাবুয়ে। সবশেষ তারা এই সিলেটেই স্বাগতিকদের হারিয়েছিল। আর টেস্ট ক্রিকেটে সামগ্রিকভাবে জিম্বাবুয়ের এটি প্রথম জয় ২০২১ সালের পর। তখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। এরপর টানা ১০ টেস্টে জয়হীন ছিল রোডেশিয়ানরা।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের চতুর্থ দিনে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। এক রান না করেই মুজারাবানির বলে কট বিহাইন্ড হন তিনি। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ যোগ দিলেও বেশি সময় টিকতে পারেননি, ১১ রান করে আবারও মুজারাবানির শিকার হন।

এক প্রান্ত ধরে রাখলেও জাকের আলী অনিকও শেষপর্যন্ত সঙ্গীর অভাবে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে আউট হন। তিনি ৫৮ রান করেন। শেষ পর্যন্ত টাইগারদের ইনিংস থামে ২৫৫ রানে। ইনিংসে জিম্বাবুয়ের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন ব্লেসিং মুজারাবানি, একাই নেন ৬ উইকেট।

এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ১৯১ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে তোলে ২৭৩ রান, ফলে স্বাগতিকদের লিড দাঁড়ায় মাত্র ৮২ রান। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তখনও বাংলাদেশের দিকেই ছিল, কারণ দ্বিতীয় ইনিংসে তারা চেয়েছিল অন্তত ৩০০ রানের লিড নিতে। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সে লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

১৭৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়েকে দারুণ শুরু এনে দেন ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯৫ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও মাঝের চাপ সামলে শেষ পর্যন্ত ওয়েসলি মাধেভেরে ও রিচার্ড এনগারাভার ব্যাটে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। মাধেভেরে অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে, এনগারাভা ৪ রানে।

বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও পাঁচ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এছাড়া তাইজুল ইসলাম নেন ২টি উইকেট। তবে বোলারদের এই লড়াই শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।

এই হারের ফলে সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের জন্য এটি শুধু একটি জয় নয়, বরং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার এক বড় উপলক্ষ।