ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই দশকেও বদলি হন না দীঘিনালার চার কৃষি কর্মকর্তা!

প্রমোদ কুমার মুৎসুদ্দী, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি)
  • আপডেট সময় : ০১:০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

দীঘিনালা উপজেলা কৃষি অফিস

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা কৃষি অফিসে বদলির নিয়ম যেন একরকম স্থগিত হয়ে গেছে। এখানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চারজন কর্মকর্তা একটানা ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন।

তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে সুপন চাকমা, সুদত্ত চাকমা এবং অতুল বিহারী চাকমা দীঘিনালায় যোগ দেন। এরপর ২০০৮ সালে যোগ দেন স্বপন তালুকদার। একবার যে তারা এই দপ্তরে যোগ দিয়েছেন, এরপর আর বদলির মুখ দেখেননি কেউই। ফলে ওই পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগও তৈরি হয়নি।

দীর্ঘ সময় একই কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালন করায় প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। কেউ কেউ বলছেন, এটা কি দক্ষতার স্বীকৃতি, নাকি প্রশাসনিক গতিশীলতার অভাব এবং প্রভাব খাটিয়ে অবস্থান আঁকড়ে থাকার ফল?

একজন স্থানীয় কর্মচারী, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সাধারণত এখানে কেউ তিন-চার বছরের বেশি সময় থাকেন না। কিন্তু এই চারজন কর্মকর্তার এতদিন ধরে থেকে যাওয়া অন্যদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করছে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, “পরিবর্তন প্রশাসনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। দীর্ঘ সময় একই স্থানে থাকা কখনো কখনো কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে।”

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বছিরুল আলম বলেন, “আমি বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই প্রথম জানলাম। এখনই খোঁজখবর নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, এত দীর্ঘ সময় একই জায়গায় কর্মরত থাকা কর্মকর্তাদের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত ও মূল্যায়ন জরুরি। এতে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা আসবে, অন্যদিকে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুই দশকেও বদলি হন না দীঘিনালার চার কৃষি কর্মকর্তা!

আপডেট সময় : ০১:০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা কৃষি অফিসে বদলির নিয়ম যেন একরকম স্থগিত হয়ে গেছে। এখানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চারজন কর্মকর্তা একটানা ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন।

তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে সুপন চাকমা, সুদত্ত চাকমা এবং অতুল বিহারী চাকমা দীঘিনালায় যোগ দেন। এরপর ২০০৮ সালে যোগ দেন স্বপন তালুকদার। একবার যে তারা এই দপ্তরে যোগ দিয়েছেন, এরপর আর বদলির মুখ দেখেননি কেউই। ফলে ওই পদে নতুন কাউকে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগও তৈরি হয়নি।

দীর্ঘ সময় একই কর্মস্থলে থেকে দায়িত্ব পালন করায় প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। কেউ কেউ বলছেন, এটা কি দক্ষতার স্বীকৃতি, নাকি প্রশাসনিক গতিশীলতার অভাব এবং প্রভাব খাটিয়ে অবস্থান আঁকড়ে থাকার ফল?

একজন স্থানীয় কর্মচারী, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সাধারণত এখানে কেউ তিন-চার বছরের বেশি সময় থাকেন না। কিন্তু এই চারজন কর্মকর্তার এতদিন ধরে থেকে যাওয়া অন্যদের জন্য প্রশ্ন তৈরি করছে।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, “পরিবর্তন প্রশাসনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। দীর্ঘ সময় একই স্থানে থাকা কখনো কখনো কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে।”

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক বছিরুল আলম বলেন, “আমি বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই প্রথম জানলাম। এখনই খোঁজখবর নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, এত দীর্ঘ সময় একই জায়গায় কর্মরত থাকা কর্মকর্তাদের বিষয়ে যথাযথ তদন্ত ও মূল্যায়ন জরুরি। এতে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা আসবে, অন্যদিকে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় থাকবে।