ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পারভেজ হত্যা

দুই তরুণীকে খুঁজে বের করতে নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

পারভেজ হত্যা

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পারভেজ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই তরুণীকে খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহ এই নির্দেশ দেন। ওইদিন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীর রিমান্ড শুনানির সময় বিচারক এ মন্তব্য করেন।

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ এস এম মাঈন উদ্দিন আদালতে হৃদয়কে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী জানান, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিও ফুটেজ ও সিসি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে হৃদয়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্যই রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী তাসলিমা মিনু রিমান্ডের বিরোধিতা করে বলেন, হৃদয়ের সঙ্গে নিহত পারভেজের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আলাদা বিভাগে পড়তেন, এমনকি ওই দুই তরুণীকেও হৃদয় চিনতেন না।

বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই তরুণী কোথায়, তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? উত্তরে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহ করার মতো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং সিসি ক্যামেরায় তাদের দেখা যায়নি। তবে বিচারক বলেন, তরুণীদের ভূমিকা ছিল, তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে বনানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পারভেজ বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের পাশে দোকানে বসে ছিলেন। সেসময় পাশেই থাকা দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন যে পারভেজ তাদের উত্ত্যক্ত করেছেন। তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানান। পরে প্রক্টরের অফিসে পারভেজ ক্ষমা চাইলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর কয়েকজন যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় পারভেজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পারভেজ হত্যা

দুই তরুণীকে খুঁজে বের করতে নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৯:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

পারভেজ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই তরুণীকে খুঁজে বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্যাহ এই নির্দেশ দেন। ওইদিন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীর রিমান্ড শুনানির সময় বিচারক এ মন্তব্য করেন।

বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ এস এম মাঈন উদ্দিন আদালতে হৃদয়কে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ওমর ফারুক ফারুকী জানান, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিও ফুটেজ ও সিসি ক্যামেরা বিশ্লেষণ করে হৃদয়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পেছনে রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্যই রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী তাসলিমা মিনু রিমান্ডের বিরোধিতা করে বলেন, হৃদয়ের সঙ্গে নিহত পারভেজের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আলাদা বিভাগে পড়তেন, এমনকি ওই দুই তরুণীকেও হৃদয় চিনতেন না।

বিচারক তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই তরুণী কোথায়, তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন? উত্তরে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সন্দেহ করার মতো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং সিসি ক্যামেরায় তাদের দেখা যায়নি। তবে বিচারক বলেন, তরুণীদের ভূমিকা ছিল, তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে বনানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পারভেজ বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের পাশে দোকানে বসে ছিলেন। সেসময় পাশেই থাকা দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন যে পারভেজ তাদের উত্ত্যক্ত করেছেন। তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানান। পরে প্রক্টরের অফিসে পারভেজ ক্ষমা চাইলে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর কয়েকজন যুবক তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় পারভেজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়।