ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পারভেজ হত্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে

পারভেজ হত্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেপ্তার

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. হৃদয় মিয়াজীকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার। হৃদয় মিয়াজী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব এবং তিতাস উপজেলার দুর্লব্দী গ্রামের বাসিন্দা।

র‍্যাব-১১ এর একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তিতাস থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে। তিতাস থানার ওসি শহীদ উল্লাহ জানান, হত্যাকাণ্ডের পর হৃদয় নিজ গ্রামে না থেকে পাশের মনাইরকান্দি গ্রামে মামার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

এ নিয়ে আলোচিত পারভেজ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের পটভূমি
গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে বনানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ও তাঁর বন্ধু তরিকুল ইসলামের ওপর একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পারভেজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

রিমান্ডে আরও তিন আসামি
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এর আগে গ্রেপ্তার তিনজন আসামি—আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)—কে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ বলছে, মামলায় হৃদয় মিয়াজীর নাম এজাহারের ৫ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ আছে। তার বিরুদ্ধে সহিংস হামলায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পারভেজ হত্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১০:৫২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. হৃদয় মিয়াজীকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মনাইরকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার। হৃদয় মিয়াজী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব এবং তিতাস উপজেলার দুর্লব্দী গ্রামের বাসিন্দা।

র‍্যাব-১১ এর একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তিতাস থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে। তিতাস থানার ওসি শহীদ উল্লাহ জানান, হত্যাকাণ্ডের পর হৃদয় নিজ গ্রামে না থেকে পাশের মনাইরকান্দি গ্রামে মামার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

এ নিয়ে আলোচিত পারভেজ হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের পটভূমি
গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে বনানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ও তাঁর বন্ধু তরিকুল ইসলামের ওপর একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পারভেজকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

রিমান্ডে আরও তিন আসামি
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এর আগে গ্রেপ্তার তিনজন আসামি—আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)—কে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ বলছে, মামলায় হৃদয় মিয়াজীর নাম এজাহারের ৫ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ আছে। তার বিরুদ্ধে সহিংস হামলায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।