সাগর-রুনি হত্যা মামলা
নথি পোড়ার খবর সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ডিএমপি

- আপডেট সময় : ০২:৩১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সংক্রান্ত নথি আগুনে পুড়ে যাওয়ার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সংস্থাটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিশেষ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত সাগর-রুনী হত্যা মামলার নথিপত্র ডিবি হেফাজতে পুড়ে যাবার তথ্যটি সঠিক নয়।”
এর আগে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, মামলার তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে এবং আরও সময় প্রয়োজন। আদালত এ সময় ৯ মাসের সময় চাওয়ার প্রেক্ষিতে ২২ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে র্যাবকে তদন্ত থেকে সরিয়ে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয়। আদালত একইসঙ্গে ৬ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেন।
পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করে। এতে আহ্বায়ক করা হয় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও পিবিআই প্রধানকে। টাস্কফোর্সের বাকি সদস্যরা হলেন—পুলিশ সদর দপ্তর ও সিআইডি থেকে একজন করে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক এবং র্যাব থেকে একজন পরিচালক।
তবে ৬ এপ্রিল হাইকোর্টে অবকাশকালীন ছুটি থাকায় তখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন সকালে তাদের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরদিন, ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির প্রথম তদন্ত করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে ১৬ ফেব্রুয়ারি তদন্তভার দেওয়া হয় ডিবি পুলিশের মো. রবিউল আলমকে। তবে দুই মাস পর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব চলে যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে।
র্যাব আজ পর্যন্ত মামলার কোনো চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। এরইমধ্যে, ২০২3 সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হন ব্যারিস্টার শিশির মনির।
প্রসঙ্গত, হত্যাকাণ্ডের পর ২০১২ সালেই হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে রিট দায়ের করে। সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চান, কেন খুনিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হবে না।