ঢাকা ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মঙ্গলবার জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ডের আপিল শুনানি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।

আসামিপক্ষের হয়ে শুনানির আবেদন করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে এবং মূল আপিল শুনানির অনুমতি দেয়। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলোর মধ্যে প্রথম, যেখানে রিভিউর মাধ্যমে মূল আপিল শুনানির সুযোগ দেওয়া হলো। আদালত আসামিপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয়।

রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি, তবে সেদিনই শুনানি শেষ না হওয়ায় তা ২৫ ফেব্রুয়ারিতে পুনঃতালিকাভুক্ত হয়। পরে আরও দুই দফা—২০ ফেব্রুয়ারি ও ২৩ জানুয়ারি—শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ হলেও বিচারপতির অনুপস্থিতির কারণে তা পেছানো হয়।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রংপুরে সংঘটিত গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটিতে আজহারকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়। পরে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখে।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আজহারের নেতৃত্বে রংপুর অঞ্চলে ১,২৫৬ জনকে হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ এবং একজনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও অসংখ্য বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়। তবে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই এ রায়কে ‘প্রহসনের রায়’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আজহারের আইনজীবীরা ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরে তার খালাস চেয়ে আপিল করেন। আপিলের মূল অংশ ৯০ পৃষ্ঠার হলেও মামলার পূর্ণাঙ্গ নথিপত্র ছিল প্রায় ২,৩৪০ পৃষ্ঠার।

আইন বিশ্লেষকদের মতে, এই শুনানি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত বিচারিক প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মঙ্গলবার জামায়াত নেতা আজহারের মৃত্যুদণ্ডের আপিল শুনানি

আপডেট সময় : ১২:২৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিল শুনানি আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (২১ এপ্রিল) আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।

আসামিপক্ষের হয়ে শুনানির আবেদন করেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ আজহারের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে এবং মূল আপিল শুনানির অনুমতি দেয়। এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত মামলাগুলোর মধ্যে প্রথম, যেখানে রিভিউর মাধ্যমে মূল আপিল শুনানির সুযোগ দেওয়া হলো। আদালত আসামিপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয়।

রিভিউ আবেদনের শুনানি শুরু হয় ২৩ ফেব্রুয়ারি, তবে সেদিনই শুনানি শেষ না হওয়ায় তা ২৫ ফেব্রুয়ারিতে পুনঃতালিকাভুক্ত হয়। পরে আরও দুই দফা—২০ ফেব্রুয়ারি ও ২৩ জানুয়ারি—শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ হলেও বিচারপতির অনুপস্থিতির কারণে তা পেছানো হয়।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রংপুরে সংঘটিত গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পাঁচটিতে আজহারকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়। পরে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আপিল বিভাগ ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখে।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আজহারের নেতৃত্বে রংপুর অঞ্চলে ১,২৫৬ জনকে হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ এবং একজনকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও অসংখ্য বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়। তবে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই এ রায়কে ‘প্রহসনের রায়’ হিসেবে অভিহিত করে আসছে।

২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আজহারের আইনজীবীরা ১১৩টি যুক্তি তুলে ধরে তার খালাস চেয়ে আপিল করেন। আপিলের মূল অংশ ৯০ পৃষ্ঠার হলেও মামলার পূর্ণাঙ্গ নথিপত্র ছিল প্রায় ২,৩৪০ পৃষ্ঠার।

আইন বিশ্লেষকদের মতে, এই শুনানি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত বিচারিক প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।