সিলেট টেস্ট
পিছিয়ে থেকেও জয়ের স্বপ্ন দেখতে পারে বাংলাদেশ

- আপডেট সময় : ১১:০২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট। ধৈর্যশীল, গঠনমূলক ব্যাটিংয়ের বদলে ব্যাকরণবহির্ভূত শট খেলে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মূল্য চোকানোর নমুনা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সংগ্রহে বাংলাদেশ ৮২ রানে পিছিয়ে পড়ে। কিন্তু এরপরও ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছে টাইগাররা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে। এখনও ২৫ রানে পিছিয়ে, হাতে ৯ উইকেট। তিনদিনের খেলা বাকি। এখান থেকে দৃঢ়তা দেখাতে পারলে ম্যাচ জেতাও অসম্ভব নয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে সম্ভাবনার সুতোর টান
সোমবার দিনের শেষ ঘণ্টায় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক যে ৪৪ রানের জুটি গড়েছেন, সেটিই বাংলাদেশের আশার আলো। জয় ৪২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত, মুমিনুল ২৬ বলে করেছেন ১৫ রান।
আগামীকাল এই জুটি আরও বড় হলে বাংলাদেশ ইনিংস গড়তে পারবে, দিতে পারবে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।
জয়ের সমীকরণ কী?
তিন দিন হাতে রেখে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য এখনও উন্মুক্ত। অন্তত ২৫০ রানের লিড নিতে পারলে জিম্বাবুয়েকে পরীক্ষায় ফেলা সম্ভব। কারণ, জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপটা এখনো স্পিনে অস্বস্তিতে পড়ে।
প্রমাণ মিলে দ্বিতীয় ইনিংসেই—সোমবারের শেষ সেশনে মাত্র ৯৬ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা, মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে।
স্পিনারদের জ্বলে ওঠার সম্ভাবনা
যদি চতুর্থ দিনের উইকেট ভাঙে, তাহলে মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম আরও ভয়ংকর হয়ে উঠবেন। দুজন দুই প্রান্ত থেকে চাপ সৃষ্টি করতে পারলে জিম্বাবুয়েকে তুলাধোনা করা অসম্ভব নয়।
ব্যাটারদের দায়িত্বশীলতা জরুরি
মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, শান্ত, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলী ও মিরাজ—এই ব্যাটারদের চাই জেদ, ধৈর্য আর দায়িত্ব। দ্বিতীয় ইনিংসে সবাই মিলে যদি দেড়-দুই দিন উইকেটে টিকে থাকতে পারেন, ২৭৫-৩০০ রানের লিডও সম্ভব।
আর যদি সেটা হয়, তাহলে বাংলাদেশের জয়ের পথ খুলে যাবে। কারণ, জিম্বাবুয়ে দলে এমন কোনো ভয়ংকর বোলার নেই যিনি গতি, সুইং বা বাউন্সে ভয় ধরিয়ে দিতে পারেন।
ইতিহাস সাক্ষী, টিকে থেকে লড়া যায়
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টেস্টে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরেও দুর্দান্ত কামব্যাক করে জয় ছিনিয়ে এনেছিল বাংলাদেশ। এবারো তেমন কিছু অসম্ভব নয়।
এখনও ২৫ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ যদি দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ২৭৫ রান যোগ করতে পারে, তাহলে জিম্বাবুয়ে চাপে পড়ে যাবে। চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে স্পিনারদের জন্য সহায়ক উইকেটেই লড়াই হবে আসল। মিরাজ-তাইজুল জ্বলে উঠলেই জয়ের আশাও উজ্জ্বল হবে।
দেখা যাক, টাইগাররা কি নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ রেখে এই ম্যাচ থেকে জয়ের গল্প লিখতে পারে কিনা।