ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুন্দরবনে জিম্মি ২ জেলে উদ্ধার

মাসুদ রানা, মোংলা (বাগেরহাট)
  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

সুন্দরবনে জিম্মি ২ জেলে উদ্ধার

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুন্দরবনে কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। একই অভিযানে তাদের হাতে জিম্মি থাকা দুই জন জেলেকেও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, করিম শরীফ বাহিনীর কিছু সদস্য খুলনার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা সংলগ্ন সুন্দরবন এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ এপ্রিল রাত ১১টায় কোস্ট গার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ১টি একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১ রাউন্ড ফাঁকা গুলিসহ মো. শাজাহান মোল্লা (৪৮) নামে এক সহযোগীকে আটক করা হয়। তিনি খুলনার দাকোপ থানার বাসিন্দা।

ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক
ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক

পরদিন ২০ এপ্রিল ভোররাতে সুন্দরবনের নলিয়ান ঠাকুরবাড়ি খেয়াঘাট এলাকা থেকে করিম শরীফ বাহিনীর আরেক সহযোগী মো. সুমন হাওলাদার (৩০) কে আটক করা হয়। তিনি মোংলা থানার অধীন বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে করিম শরীফের নেতৃত্বে ডাকাতি কার্যক্রমে জড়িত এবং বাহিনীকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরবরাহে সহায়তা করে আসছিল।

একই দিনে ভোর ৫টায় কোস্ট গার্ডের আরেক অভিযানে আড়শিবসা নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে করিম শরীফ বাহিনীর হাতে জিম্মি থাকা দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়। জেলেরা হলেন পাইকগাছা থানার বাসিন্দা আজিজুল শেখ (৫৫) ও আলম গাজী (৩৭)। জানা যায়, তারা গত ৮ এপ্রিল থেকে জিম্মি অবস্থায় ছিলেন।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাকোপ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধার হওয়া জেলেদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, “সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্ট গার্ডের ২৪ ঘণ্টার টহল অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুন্দরবনে জিম্মি ২ জেলে উদ্ধার

আপডেট সময় : ১০:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

সুন্দরবনে কুখ্যাত ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। একই অভিযানে তাদের হাতে জিম্মি থাকা দুই জন জেলেকেও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, করিম শরীফ বাহিনীর কিছু সদস্য খুলনার দাকোপ উপজেলার কামারখোলা সংলগ্ন সুন্দরবন এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ এপ্রিল রাত ১১টায় কোস্ট গার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে ১টি একনলা বন্দুক, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ১ রাউন্ড ফাঁকা গুলিসহ মো. শাজাহান মোল্লা (৪৮) নামে এক সহযোগীকে আটক করা হয়। তিনি খুলনার দাকোপ থানার বাসিন্দা।

ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক
ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক

পরদিন ২০ এপ্রিল ভোররাতে সুন্দরবনের নলিয়ান ঠাকুরবাড়ি খেয়াঘাট এলাকা থেকে করিম শরীফ বাহিনীর আরেক সহযোগী মো. সুমন হাওলাদার (৩০) কে আটক করা হয়। তিনি মোংলা থানার অধীন বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে করিম শরীফের নেতৃত্বে ডাকাতি কার্যক্রমে জড়িত এবং বাহিনীকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরবরাহে সহায়তা করে আসছিল।

একই দিনে ভোর ৫টায় কোস্ট গার্ডের আরেক অভিযানে আড়শিবসা নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে করিম শরীফ বাহিনীর হাতে জিম্মি থাকা দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়। জেলেরা হলেন পাইকগাছা থানার বাসিন্দা আজিজুল শেখ (৫৫) ও আলম গাজী (৩৭)। জানা যায়, তারা গত ৮ এপ্রিল থেকে জিম্মি অবস্থায় ছিলেন।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাকোপ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধার হওয়া জেলেদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বলেন, “সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে কোস্ট গার্ডের ২৪ ঘণ্টার টহল অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”