সিলেটে রেলওয়ের জমি দখল ও হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ০২:৩৭:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ৪০৯ বার পড়া হয়েছে

সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলা বাজার ইউনিয়নের মৃত শফিকুল বারীর তৃতীয় পুত্র শাহ মো. রুম্মানুল হকের বিরুদ্ধে রেলওয়ের জমি দখল, অবৈধ নির্মাণকাজ, স্থানীয়দের হয়রানি এবং সামাজিক অপপ্রচারের অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রোববার (২0 এপ্রিল) সিলেট উপশহর মারুফের নিজ বাসায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা লিখিত বক্তব্যে শাহ মো. রুম্মানুল হকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরেন।
তারা জানান, রুম্মানুল হক দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন সরকারের আমলে বারবার রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করেছেন। আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে জামায়াতের পরিচয়ে এলাকায় দাপট চালাচ্ছেন। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে রাস্তা ও দেয়াল নির্মাণ করে নিরীহ মানুষদের জমি ও সম্পত্তিতে বাধা সৃষ্টি করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত মারুফ জানান, তাঁর দাদী হুরে আরা বেগমের নামে রেলওয়ের কাছ থেকে লিজ নেয়া প্রায় ৩.৫ বিঘা জমিতে তিনি মাছ চাষ করছেন। শাহ মো. রুম্মানুল হক সেখানে জোরপূর্বক দেয়াল ও রাস্তা তৈরি করে তাঁর মাছ চাষে বাধা সৃষ্টি করছেন। এ বিষয়ে রেলের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়েছেন। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, জমি সংক্রান্ত আদালতের তদন্ত কমিশনের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রুম্মানুল হক তার ওপর হামলা চালান এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। থানায় অভিযোগ করলেও মোবাইল এখনো ফেরত পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মোগলা বাজার ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলী, সাবেক মেম্বার আবদুল হাই নিলু এবং গ্রামের মসজিদের সাবেক সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্য মো. মাসুদ মিয়া। তাঁরা জানান, রুম্মানুল হক পঞ্চায়েত কমিটির সদস্যদেরকেও হেয় করেছেন এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, রুম্মানুল হকের দুই ভাই শাহ মিজানুল হক ও শাহ এনামুল হক লন্ডন থেকে তাঁকে এসব কর্মকাণ্ডে উৎসাহ ও সহায়তা করে আসছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন, গত ১২ এপ্রিল রুম্মানুল হক সিলেট প্রেস ক্লাবে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা চলমান আদালত ও তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে এবং এটি আদালত অবমাননার শামিল।
তারা বলেন, রুম্মানুল হক শুধু জমি দখল বা হয়রানিই নয়, প্রাণনাশের হুমকি-ধমকিও দিচ্ছেন। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।