রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে বিএনপির প্রস্তাব
‘নট মোর দ্যান টু কনসিকিউটিভ টার্মস’

- আপডেট সময় : ০৮:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা বৃদ্ধির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির মতে, রাষ্ট্রের ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদের পর একটি নতুন ধারা সংযুক্ত করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।
রোববার (২০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে এসব প্রস্তাব তুলে ধরে বিএনপি। সংলাপ শেষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ব্যবস্থার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। বরং সংসদের উভয় কক্ষের সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে দলটি।
বিএনপি প্রধানমন্ত্রিত্বের জন্য টানা দুই মেয়াদের সীমা নির্ধারণের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে দলটি মনে করে, পরপর দুই মেয়াদ শেষ হলে বিরতির পর আবারও কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন—এমন ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমাদের প্রস্তাব হলো—‘নট মোর দ্যান টু কনসিকিউটিভ টার্মস’। জনগণ চাইলে, বিরতির পর কেউ আবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন।”
একই ব্যক্তি দলপ্রধান, সরকারপ্রধান এবং সংসদ নেতা হবেন কি না—এ বিষয়ে বিএনপি কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপের পক্ষে নয়। সালাহউদ্দিন বলেন, “যুক্তরাজ্যের মতো দেশেও এক ব্যক্তি এই তিন দায়িত্ব পালন করেন। এটি গণতান্ত্রিক চর্চার অংশ।”
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে পূর্বাবস্থায় ফিরতে চায় বিএনপি। দলটির মতে, পুরোনো সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বা ‘বহুত্ববাদ’ শব্দ ছিল না। তবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে থাকা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবকে বিএনপি সমর্থন জানিয়েছে।
বিএনপি মনে করে, ইন্টারনেট নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হওয়া উচিত। তবে দলটির পরামর্শ, সংবিধানে নতুন অধিকার যুক্ত করার আগে রাষ্ট্রের বাস্তবায়ন সক্ষমতা বিবেচনা করা প্রয়োজন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, “সংস্কার নিয়ে কমিশনের সঙ্গে অনেক বিষয়ে আমাদের মত মিলেছে। কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য আছে—এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমরা বাকশাল-ধাঁচের একমতের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না।”
তিনি আরও বলেন, “যা যুক্তিসঙ্গত ও সময়োপযোগী, তা দেশ ও জনগণের স্বার্থে গ্রহণ করাই উচিত।” জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির দ্বিতীয় দফা সংলাপ আগামী ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।