সাজ্জাদুল মিরাজের উপর হামলা: সাতজন গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ১১:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ৪৭ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর শাহআলী এলাকায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে ছাত্রলীগের সদস্যদের হাতে হামলার শিকার হন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ। এ ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিবি) মিরপুর বিভাগের অভিযানে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো — শান্ত ইসলাম, শাহআলী থানার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি; ফতে দুলালের ছেলে, বিশিষ্ট মাদক ব্যবসায়ী এবং শাহআলী থানার যুবলীগ নেতা সিজয় আহমেদ (রমজান আলী মো: আলম); কিশোর গ্যাং লিডার রবিউল ইসলাম রুবেল (ডুক্কু রুবেল); এবং মো: ইয়াকুব আলী, মো: আমিনুল ইসলাম, মো: সোহেল। তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় একটি অভিযান চালিয়ে।
ডিবি মিরপুর বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী মো: জহিরুল ইসলাম শাহআলী থানার যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ১৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে যুবদল কর্মী রাব্বি খান সঙ্গীয় লোকজনসহ ছাত্রজনতা হত্যায় অভিযুক্ত যুবলীগের ৯৩ নং ওয়ার্ডের ইউনিট সভাপতি শরিফকে আটক করে। বিষয়টি জানালে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আসামি রফিকুল ইসলাম বগা বাবু তার অনুসারীদের নিয়ে শরিফকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়, যার ফলে বাদী ও রফিকুল ইসলামের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়।
এর পর ১৫ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে রাত ১০:৫০ মিনিটে শাহআলী থানার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের অফিসে আসামিরা গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে বাদী মো: জহিরুল ইসলামকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে অফিসের কর্মীরা বাধা দিলে তারা সফল হতে পারে না। পরে আসামিরা এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, চাপাতি, রামদা এবং আগ্নেয়াস্ত্রসহ অতর্কিতভাবে অফিসের সামনে হামলা চালায়।
এই হামলায় বাদী মো: জহিরুল ইসলাম সহ তার সহকর্মীরা গুরুতর আহত হন। রবিউল ইসলাম রুবেল বাদীকে কিল-ঘুষি মেরে, রফিকুল ইসলাম মনির হোসেনকে কোপ দিয়ে গুরুতর আঘাত করেন, এবং ইয়াকুব চাপাতি দিয়ে বিল্লাল হোসেনকে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করেন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে, হামলাকারীরা তাদের দিকে ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মো: জহিরুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে শাহআলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ডিবি মিরপুর বিভাগ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তারকৃতদের আটক করে, যারা পূর্বশত্রুতার কারণে এই হামলায় অংশ নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং আরও অভিযুক্তদের গ্রেপতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।