দিনাজপুরে হিন্দু নেতা হত্যা: ভারত সরকার এবং কংগ্রেসের উদ্বেগ

- আপডেট সময় : ০৬:৪১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে

দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ভবেশচন্দ্র রায়কে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার এবং দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই হত্যাকাণ্ডকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের প্রতি ‘পদ্ধতিগত নিপীড়নের’ অংশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
৫৮ বছর বয়সী ভবেশচন্দ্র রায় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের বিরল ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে একটি ফোন কল পাওয়ার পর তাঁর বাড়িতে দুটি মোটরসাইকেলে চার যুবক এসে জোর করে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ একটি ভ্যানে করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
তাঁকে দ্রুত বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, সেখান থেকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ লিখেছেন, “এই নৃশংস অপহরণ ও হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে বেড়ে চলা নিরাপত্তাহীনতার ভয়াবহ প্রতিচ্ছবি। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—সম্প্রতি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার বহু ঘটনা ঘটেছে।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন, “এই হত্যাকাণ্ড স্পষ্টতই হিন্দু সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে চালানো হয়েছে। পূর্ববর্তী হামলাগুলোর বিচার না হওয়াই এই ধরনের ঘটনা বাড়ার পেছনে দায়ী। বাংলাদেশ সরকারকে মনে করিয়ে দিচ্ছি, তারা যেন অজুহাত না খুঁজে সুনির্দিষ্টভাবে সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।”
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়েছে।
এদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মোদী সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দায়ীদের খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।