ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবেন না: মির্জা ফখরুল

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের সংকট মোকাবিলায় বাইরের কোনো শক্তির ওপর নির্ভর না করে নিজস্ব উদ্যোগেই সমাধান খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের শি জিনপিং বা ভারতের নরেন্দ্র মোদি এসে আমাদের জন্য কিছু করে দিয়ে যাবেন না—আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে।”

শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলামের দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি ও শাসন ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা নানা মত ও আদর্শের মানুষ একত্র হয়ে লড়েছি, ঠিক তেমনি বর্তমান সংকটেও ঐক্যের প্রয়োজন। ২০২৪ সালে যখন ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল, তখনও আমরা সবাই এক হয়েছি। গণঅভ্যুত্থানে এক হওয়ার সেই চেতনা নিয়ে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সময় দেশের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি, আর এখন তা ১৮ কোটির বেশি। একসময় দেশের খাদ্য ঘাটতি ছিল প্রায় ২৮ লাখ মেট্রিক টন, আজ আমরা সেই ঘাটতি কাটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। এই সফলতার পেছনে কৃষক ও কৃষি বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, যেটা অনেকেই যথাযথভাবে উপলব্ধি করেন না।

যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক নিয়ে তিনি বলেন, “এই ট্যারিফ দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত সমাধান না হলে তা আরও বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে।”

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের সাধারণ মানুষের অবদানকে স্মরণ করে বলেন, “গ্রামের চাষি, মাঠে কাজ করা শ্রমিক আর মাত্র ১৫ হাজার টাকায় জীবন চালানো নারী শ্রমিকরাই আসলে আমাদের অর্থনীতির প্রকৃত চালিকাশক্তি। তাদের কথা না ভেবে উন্নয়ন সম্ভব নয়।”

শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি আশাবাদী, আমরা যদি একে অপরকে বিশ্বাস করি, দেশকে ভালোবাসি, তাহলে ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব। সমস্যার সমাধান অবশ্যই আছে। ড. ইউনূসের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি চেষ্টা করছেন, আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই এবং তাঁর সাফল্য কামনা করি। এখন সময় আমাদের নিজেদের সাহায্য করার।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবেন না: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশের সংকট মোকাবিলায় বাইরের কোনো শক্তির ওপর নির্ভর না করে নিজস্ব উদ্যোগেই সমাধান খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প, চীনের শি জিনপিং বা ভারতের নরেন্দ্র মোদি এসে আমাদের জন্য কিছু করে দিয়ে যাবেন না—আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে।”

শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলামের দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ: নেতৃত্ব, ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধির পথে কূটনীতি ও শাসন ব্যবস্থা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন আমরা নানা মত ও আদর্শের মানুষ একত্র হয়ে লড়েছি, ঠিক তেমনি বর্তমান সংকটেও ঐক্যের প্রয়োজন। ২০২৪ সালে যখন ছাত্রদের ওপর গুলি চালানো হয়েছিল, তখনও আমরা সবাই এক হয়েছি। গণঅভ্যুত্থানে এক হওয়ার সেই চেতনা নিয়ে আবারও ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সময় দেশের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি, আর এখন তা ১৮ কোটির বেশি। একসময় দেশের খাদ্য ঘাটতি ছিল প্রায় ২৮ লাখ মেট্রিক টন, আজ আমরা সেই ঘাটতি কাটিয়ে খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি। এই সফলতার পেছনে কৃষক ও কৃষি বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে, যেটা অনেকেই যথাযথভাবে উপলব্ধি করেন না।

যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক নিয়ে তিনি বলেন, “এই ট্যারিফ দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত সমাধান না হলে তা আরও বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে।”

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের সাধারণ মানুষের অবদানকে স্মরণ করে বলেন, “গ্রামের চাষি, মাঠে কাজ করা শ্রমিক আর মাত্র ১৫ হাজার টাকায় জীবন চালানো নারী শ্রমিকরাই আসলে আমাদের অর্থনীতির প্রকৃত চালিকাশক্তি। তাদের কথা না ভেবে উন্নয়ন সম্ভব নয়।”

শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি আশাবাদী, আমরা যদি একে অপরকে বিশ্বাস করি, দেশকে ভালোবাসি, তাহলে ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব। সমস্যার সমাধান অবশ্যই আছে। ড. ইউনূসের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তিনি চেষ্টা করছেন, আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই এবং তাঁর সাফল্য কামনা করি। এখন সময় আমাদের নিজেদের সাহায্য করার।”