ঢাকা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে শনিবার বৈঠকে বসছে বিএনপি

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ঘিরে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিএনপি। আগামীকাল শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির লিয়াঁজো কমিটির সদস্য এবং বৈঠকের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান এতে সভাপতিত্ব করবেন। বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, বিকেল ৩টায় ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ এলডিপির সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক হবে।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানায়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জুন পর্যন্ত সময়সীমার প্রস্তাব দেওয়ায়, বিএনপি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে। এই প্রেক্ষাপটেই শরিক দলগুলোর মতামত জানতেই শনিবারের এই বৈঠক।

সূত্রমতে, বৈঠকে বিএনপি তার অবস্থান তুলে ধরবে এবং শরিকদের ভাবনাও শুনবে। একইসঙ্গে আলোচনায় আসন বণ্টন, শরিক দলগুলোর মূল্যায়ন এবং আন্দোলনের পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়েও আলোচনা হবে।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, “বিএনপি আগেই বলেছে, ডিসেম্বরই নির্বাচনের সময়সীমার শেষ সীমা। আমরাও এই অবস্থানের সঙ্গে একমত। বৈঠকে আমরা আলোচনায় সরকারের কাছে বার্তা কীভাবে জোরালোভাবে পৌঁছানো যায়, তা নিয়েই কথা বলব।”

এদিকে এলডিপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বৈঠকে কোনো কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে কিনা, তা নির্ভর করবে আলোচনা ও পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির আলোচনা শেষে যুগপৎ শরিকদের নিয়ে বৈঠকের ঘোষণা ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবারের বৈঠকে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারিত হবে বলে আমরা আশা করছি।”

বিএনপি নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বৈঠকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ, মতপার্থক্য থাকলে অভ্যন্তরীণ সমন্বয় এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি নিবিড় দৃষ্টি রাখার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে, যাতে বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে শনিবার বৈঠকে বসছে বিএনপি

আপডেট সময় : ১১:২৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ঘিরে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসতে যাচ্ছে বিএনপি। আগামীকাল শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির লিয়াঁজো কমিটির সদস্য এবং বৈঠকের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান এতে সভাপতিত্ব করবেন। বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, বিকেল ৩টায় ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে এবং সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ এলডিপির সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক হবে।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানায়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে জুন পর্যন্ত সময়সীমার প্রস্তাব দেওয়ায়, বিএনপি এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে। এই প্রেক্ষাপটেই শরিক দলগুলোর মতামত জানতেই শনিবারের এই বৈঠক।

সূত্রমতে, বৈঠকে বিএনপি তার অবস্থান তুলে ধরবে এবং শরিকদের ভাবনাও শুনবে। একইসঙ্গে আলোচনায় আসন বণ্টন, শরিক দলগুলোর মূল্যায়ন এবং আন্দোলনের পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়েও আলোচনা হবে।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, “বিএনপি আগেই বলেছে, ডিসেম্বরই নির্বাচনের সময়সীমার শেষ সীমা। আমরাও এই অবস্থানের সঙ্গে একমত। বৈঠকে আমরা আলোচনায় সরকারের কাছে বার্তা কীভাবে জোরালোভাবে পৌঁছানো যায়, তা নিয়েই কথা বলব।”

এদিকে এলডিপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বৈঠকে কোনো কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে কিনা, তা নির্ভর করবে আলোচনা ও পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর।

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির আলোচনা শেষে যুগপৎ শরিকদের নিয়ে বৈঠকের ঘোষণা ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় শনিবারের বৈঠকে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারিত হবে বলে আমরা আশা করছি।”

বিএনপি নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বৈঠকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণ, মতপার্থক্য থাকলে অভ্যন্তরীণ সমন্বয় এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি নিবিড় দৃষ্টি রাখার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে, যাতে বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যায়।