ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ১৩ বছর পূর্ণ

মোঃ হাছানুর ইমাম জুয়েল
  • আপডেট সময় : ১২:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি নেতা ও সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ তিনি নিখোঁজ হন। দীর্ঘ এই সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

ইলিয়াস আলীর ব্যক্তিগত সচিব ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ময়নুল হক জানিয়েছেন, ইলিয়াস আলীর মা, স্ত্রী-সন্তান, স্বজন, সহকর্মী এবং সিলেটবাসী আজও তার ফেরার অপেক্ষায় আছেন। তাকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়ার আশায় আজ সিলেট, ওসমানীনগর, গোয়ালাবাজার এবং বিশ্বনাথে দোয়া মাহফিল ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

ইলিয়াস আলীর গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথের রামধানায় পারিবারিকভাবে মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সকাল সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। বাদ আসর ওসমানীনগর ও গোয়ালাবাজারে মিলাদ মাহফিল এবং বাদ জোহর হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট বিএনপির একাধিক নেতার ভাষ্যমতে, ইলিয়াস আলী ছিলেন এক বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা, যিনি ২০১১ সালে ভারতের টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে সিলেটে ব্যাপক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব এখনো সিলেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “গত ১৩ বছর ধরে আমরা প্রিয় নেতার ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে গুম করেছে বলেই আমাদের বিশ্বাস।” সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, “ইলিয়াস আলী এমন একজন নেতা, যাঁর জন্য কর্মীরা জীবন দিয়েছেন। আমরা আশা ছাড়িনি।”

ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার পর পরই সিলেটে ব্যাপক বিক্ষোভ ও টানা হরতাল পালিত হয়, যেখানে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও যুবদলের তিনজন কর্মী নিহত হন। বিএনপি শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারই তাকে ‘গুম’ করেছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরও ইলিয়াস আলীর বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাঁর নিখোঁজ রহস্য আজও বাংলাদেশের রাজনীতির একটি গভীর ক্ষত হয়ে রয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ১৩ বছর পূর্ণ

আপডেট সময় : ১২:২২:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপি নেতা ও সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ তিনি নিখোঁজ হন। দীর্ঘ এই সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

ইলিয়াস আলীর ব্যক্তিগত সচিব ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ময়নুল হক জানিয়েছেন, ইলিয়াস আলীর মা, স্ত্রী-সন্তান, স্বজন, সহকর্মী এবং সিলেটবাসী আজও তার ফেরার অপেক্ষায় আছেন। তাকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পাওয়ার আশায় আজ সিলেট, ওসমানীনগর, গোয়ালাবাজার এবং বিশ্বনাথে দোয়া মাহফিল ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।

ইলিয়াস আলীর গ্রামের বাড়ি বিশ্বনাথের রামধানায় পারিবারিকভাবে মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে সকাল সাড়ে ১১টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। বাদ আসর ওসমানীনগর ও গোয়ালাবাজারে মিলাদ মাহফিল এবং বাদ জোহর হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।

সিলেট বিএনপির একাধিক নেতার ভাষ্যমতে, ইলিয়াস আলী ছিলেন এক বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা, যিনি ২০১১ সালে ভারতের টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে সিলেটে ব্যাপক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার জনপ্রিয়তা ও প্রভাব এখনো সিলেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “গত ১৩ বছর ধরে আমরা প্রিয় নেতার ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে গুম করেছে বলেই আমাদের বিশ্বাস।” সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, “ইলিয়াস আলী এমন একজন নেতা, যাঁর জন্য কর্মীরা জীবন দিয়েছেন। আমরা আশা ছাড়িনি।”

ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার পর পরই সিলেটে ব্যাপক বিক্ষোভ ও টানা হরতাল পালিত হয়, যেখানে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও যুবদলের তিনজন কর্মী নিহত হন। বিএনপি শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারই তাকে ‘গুম’ করেছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরও ইলিয়াস আলীর বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাঁর নিখোঁজ রহস্য আজও বাংলাদেশের রাজনীতির একটি গভীর ক্ষত হয়ে রয়ে গেছে।