প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম

- আপডেট সময় : ১১:১৩:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। অভিযোগ, তিনি সুন্দরী মেয়েদের ব্যবহার করে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সেই আবেদন সমর্থন করা হয়। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার বাসা থেকে আটক করে। পরদিন (১০ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের জন্য আটক রাখার অনুমতি দেয় আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
মেঘনা আলমকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করায় নানা প্রশ্ন উঠে। অনেকেই জানতে চান, অপরাধে জড়িত হলে কেন স্বাভাবিকভাবে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হলো না। এই বিতর্কের মধ্যে গত শনিবার ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়েও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মহলে বিষয়টি নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রদূতের অভিযোগ ছিল, মেঘনা আলম তাঁর সঙ্গে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং হুমকি দিচ্ছেন। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করলে তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানায়। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং বুধবার রাতেই রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসা থেকে মেঘনাকে আটক করে।
আটকের আগে মেঘনা আলম ফেসবুক লাইভে এসে জানান, ‘পুলিশ পরিচয়ধারীরা’ তাঁর বাসার দরজা ভাঙার চেষ্টা করছেন। লাইভে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং সরাসরি রাষ্ট্রদূতের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ তোলেন। তবে আটক হওয়ার পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায় এবং পরে তাঁর প্রোফাইল থেকেও ভিডিওটি মুছে ফেলা হয়।