পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের রেল ব্লকেড কর্মসূচি শিথিল

- আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

ছয় দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনরত সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আপাতত রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি শিথিল করেছেন। শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’-এর (অস্থায়ী) সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাব্বির আহমেদ।
আজ, ১৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার), গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ তথ্য জানান। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা উপদেষ্টার আহ্বানে আজ বেলা ১১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৈঠক চলাকালীন সময় রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি শিথিল থাকবে। বৈঠকের ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সাব্বির আহমেদ জানান, যদি এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়, তাহলে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে। অন্যথায়, শিক্ষার্থীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
এর আগে গতকাল, ১৬ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১০টার দিকে, রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সারা দেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরাও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন। সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যার অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে রেলপথ অবরোধের কথা ছিল।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি:
১. অবৈধ পদোন্নতি বাতিল ও সংশ্লিষ্টদের বরখাস্ত: জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় বাতিল করতে হবে। একইসাথে, বিতর্কিত নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত এবং নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে।
২. আধুনিক কারিকুলাম ও ইংরেজি মাধ্যম: ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বয়সভিত্তিক ভর্তির সুযোগ বাতিল করে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন চার বছর মেয়াদি কারিকুলাম চালু এবং তা পর্যায়ক্রমে ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত স্বীকৃতি: উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের পদ ডিপ্লোমাধারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকা সত্ত্বেও অন্যদের নিয়োগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৪. কারিগরি পদে উপযুক্ত জনবল: শিক্ষা প্রশাসনে কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডবিহীন জনবল নিয়োগ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং এসব পদে যথাযথ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় ও সংস্কার কমিশন: কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে ‘কারিগরি ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়’ নামে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ‘কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
৬. উচ্চশিক্ষার সুযোগ: পলিটেকনিক ও মনোটেকনিক পাস শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরিতে একটি উন্নতমানের টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং নির্মাণাধীন চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে (নড়াইল, নাটোর, খাগড়াছড়ি, ঠাকুরগাঁও) অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালুর দাবি জানানো হয়েছে।