নেছারাবাদে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হাটের ইজারায় বাধার অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৬:২৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা হাটে সরকার নির্ধারিত বৈধ ইজারাদারকে ইজারা তুলতে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপির কিছু নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নাসির উদ্দীন তালুকদার দলবল নিয়ে ইজাদারের লোকজনকে ইজারা তুলতে বাধা দিচ্ছেন। তারা হাট থেকে ইজারাদারের লোকজনকে মেরে উঠিয়ে দিয়ে নিজেদের বাহিনী দিয়ে ইজারার টাকা তুলছেন। এ ঘটনায় ইজারাদার আব্দুর রহিম মিয়া, হুমাউন মোল্লা, নাসির উদ্দীন তালুকদার, রুহুল আমীন, জাকির হোসেনসহ মোট দশ জনের বিরুদ্ধে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, আটঘরের আব্দুর রহিম মল্লিক দীর্ঘদিন যাবত ওই হাটের ইজারা ক্রয়ের মাধ্যমে ইজারার টাকা তুলতেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান ১৪৩২ বাংলা সনের আটঘর হাটের ইজারা পান আব্দুর রহিম। যার মূল্য একুশ লাখ একুশ হাজার দুইশত একুশ টাকা।
গত ১০ এপ্রিল বাংলা সনের ১লা বৈশাখ (সোমবার) হাটে ইজারা আদায় করতে গেলে সেখানকার এক দল চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী টোল আদায় করিতে বাধা দিয়ে উঠিয়ে দেয়। এসময় ইজারাদার আব্দুর রহিমের সাথে থাকা লোকজনদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ইজারাদার আব্দুর রহিম অভিযোগ করেন, হাটের শিডিউল ক্রয়ের পূর্ব থেকে বিএনপি নেতা নাসির তালুকদার, হুমাউন মোল্লা,রুহুল আমীন সহ তাদের বাহিনী আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি তা উপেক্ষা করে শিডিউল ক্রয় করে হাটের সব্বোর্চ দাম দিয়ে ইজারা পেয়েছি। এখন হাটে ইজারা তুলতে আমাকে বাধা দেয়া হচ্ছে। বিএনপি নেতা নাসির তালুকদার চেয়েছিল অল্প টাকায় তার অনুগত কোন লোককে ইজারা পাইয়ে দিয়ে মোটা অংকের চাদা নিবেন। তিনি তা না পরায় হাট থেকে আমার লোকদের ইজারা তুলতে না দিয়ে হাটে নিজস্ব লোক বসিয়ে অবৈধ ইজারা তুলছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা নাসির উদ্দীন তালুকদার বলেন, আমি কাউকে ইজারা তুলতে বাধা দেয়নি। কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় সামনে এসে বলুক। তিনি বলেন, দূর থেকে অনেকে অনেক কিছু করতে পারে। আমি নির্দোষ।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, হাট ইজারা দেয়ার পর প্রথম দিন একটু সমস্যা হয়েছিল। এরপর কোন অভিযোগ পাইনি। শুনেছি তারা ডিসি মহোদয়ের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছে। ডিসি স্যার কি ব্যবস্থা নেয় তা আমি এখনো জানতে পারিনি।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মো: আশরাফুল আলম খান জানান, আমি গত ১৬ এপ্রিল(বুধবার) বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিষয়টি নেছারাবাদ ইউএনওকে দেখার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি।