ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা ও ইসলামাবাদের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একাত্তরে গণহত্যার ক্ষমা চাওয়া, বাংলাদেশের টাকা ফেরত নেওয়া এবং আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিতে দেশটির কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান তিনি।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জসীম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের টাকা ফেরত দিতে আলোচনা এগিয়ে নিতে রাজি হয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের দাবি করেছে বাংলাদেশ।

তিনি জানান, শিগগিরই বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে একমত হয়েছে বৈঠকে। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আলোচনা করেছে।

এ ছাড়া বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, পরিবহন যোগাযোগ উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিতে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক মজুবত করতে দ্রুত অনিস্পত্তি ইস্যু সমাধানের তাগিদ দিয়েছে ঢাকা।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব

আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফর করবেন বলেও জানিয়েছেন মো. জসীম উদ্দিন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ জানিয়েছেন, অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা অব্যহত রাখা হবে। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে স্থবির সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদার করা সম্ভব।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। আলোচনা হয়েছে সার্ক সচল করা নিয়ে। দ্বিপক্ষীয় বিষয়সহ আলোচনা হয়েছে চলমান সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

একাত্তরে গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

আপডেট সময় : ০৮:২৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

একাত্তরে গণহত্যার ক্ষমা চাওয়া, বাংলাদেশের টাকা ফেরত নেওয়া এবং আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিতে দেশটির কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান তিনি।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে জসীম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের টাকা ফেরত দিতে আলোচনা এগিয়ে নিতে রাজি হয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের দাবি করেছে বাংলাদেশ।

তিনি জানান, শিগগিরই বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে একমত হয়েছে বৈঠকে। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আলোচনা করেছে।

এ ছাড়া বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, পরিবহন যোগাযোগ উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নিতে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক মজুবত করতে দ্রুত অনিস্পত্তি ইস্যু সমাধানের তাগিদ দিয়েছে ঢাকা।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব

আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফর করবেন বলেও জানিয়েছেন মো. জসীম উদ্দিন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ জানিয়েছেন, অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা অব্যহত রাখা হবে। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে স্থবির সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদার করা সম্ভব।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্ক আরোপের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। আলোচনা হয়েছে সার্ক সচল করা নিয়ে। দ্বিপক্ষীয় বিষয়সহ আলোচনা হয়েছে চলমান সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে।