আদালতে যা বললেন মেঘনা আলম

- আপডেট সময় : ০৭:২১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

‘আমাকে কোনো বিচার ছাড়াই জেলে পাঠানো হয়েছে। আমার একমাত্র সম্পর্ক সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসার সঙ্গে, আর কারও সঙ্গে নয়। ঈসার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে। তিনি অভিযোগ করছেন আমি তার সন্তান নষ্ট করেছি—এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ আদালতে এমনটাই দাবি করেছেন মডেল মেঘনা আলম।
বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এই আবেদন সমর্থন করেন।
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় ‘সুন্দরী নারীদের দিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলার’ অভিযোগে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। একই মামলায় তাঁর কথিত সহযোগী, সানজানা ম্যানপাওয়ারের মালিক দেওয়ান সমিরকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
শুনানিতে প্রসিকিউটর বলেন, “এই চক্র অভিনব কৌশলে বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসে কর্মরত নাগরিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলে বিপুল অর্থ আদায়ের চেষ্টা করেছে। সর্বশেষ তারা সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে এবং তাঁর কাছ থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করে।”

শুনানির এক পর্যায়ে মেঘনাকে ‘মেঘলা’ বলে ডাকা হলে তিনি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “আমার নাম মেঘনা আলম, দয়া করে ঠিকভাবে উচ্চারণ করুন।”
অন্যদিকে দেওয়ান সমির আদালতে বলেন, “মেঘনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে তার বয়ফ্রেন্ড বলা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি একজন প্রবাসী, একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। মামলার এই ঘটনাগুলো আমি কিছুই জানি না।”
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরের গ্রেপ্তার অনুমোদন দেন এবং দেওয়ান সমিরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় মেঘনা সাংবাদিকদের বলেন, “আমার একমাত্র সম্পর্ক ঈসার সঙ্গে, অন্য কারও সঙ্গে না। আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না।” তখন পুলিশ সদস্যরা তাঁকে ঘিরে ধরেন এবং কথা বলতে নিষেধ করেন।