ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য রোডম্যাপ জানতে চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি। আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির নেতারা বলছেন, সরকার থেকে বলা হয়েছে নির্বাচন ২০২৫ সালের জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে দলটির মতে, এটি কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ নয়। বরং এ ধরনের বিবৃতি বিভ্রান্তি তৈরি করছে—যা সরাসরি নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নির্বাচন নিয়ে নানা মহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের একটি স্পষ্ট রূপরেখা চাইব।”

এদিকে, সোমবার দেশে ফেরার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আলোচনার মধ্য দিয়েই আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ পথ খুঁজে বের করব। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমাদের ঐক্য দরকার। আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা কেটে যাবে এবং গ্রহণযোগ্য একটি রোডম্যাপ পাওয়া যাবে।”

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার একেক সময় একেক রকম সময়সীমার কথা বলায় জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ বিভ্রান্তি দূর করতেই মূলত এই বৈঠক।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর আগে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো বড় ধরনের সংস্কার চাইলে নির্বাচন হতে পারে ২০২৫ সালের জুনে, আর ছোট সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। তবে ডিসেম্বরের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। তারা এই বছরের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। বিএনপির এই দাবিকে সমর্থন করছে আরও কিছু রাজনৈতিক দল, যেমন জামায়াতে ইসলামী, যারা চায় “সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ের” মধ্যে নির্বাচন।

অন্যদিকে, জুলাই আন্দোলন থেকে উদ্ভূত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ কয়েকটি দল বলছে, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার, তারপর জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। এমনকি গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিও তোলা হচ্ছে কিছু মহলে।

এই পরিস্থিতিতে, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনার ঝড়। নির্বাচন কমিশন যদিও ডিসেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবু রাজনীতির মাঠে সম্ভাব্য আন্দোলনের ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “১৭ বছর ধরে আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। এটিই আমাদের প্রধান ও পুরোনো দাবি। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার এসে নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। গণতন্ত্রের বিশ্বপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি পরিবেশ তৈরি করবে। এখন সেই বাস্তবতা তৈরি করতেই আমাদের দাবি স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

2 thoughts on “সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চাইবে বিএনপি

আপডেট সময় : ০৮:৩১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট ও নির্ভরযোগ্য রোডম্যাপ জানতে চেয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বিএনপি। আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির নেতারা বলছেন, সরকার থেকে বলা হয়েছে নির্বাচন ২০২৫ সালের জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে দলটির মতে, এটি কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ নয়। বরং এ ধরনের বিবৃতি বিভ্রান্তি তৈরি করছে—যা সরাসরি নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নির্বাচন নিয়ে নানা মহলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনের একটি স্পষ্ট রূপরেখা চাইব।”

এদিকে, সোমবার দেশে ফেরার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “আলোচনার মধ্য দিয়েই আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ পথ খুঁজে বের করব। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমাদের ঐক্য দরকার। আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা কেটে যাবে এবং গ্রহণযোগ্য একটি রোডম্যাপ পাওয়া যাবে।”

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার একেক সময় একেক রকম সময়সীমার কথা বলায় জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। এ বিভ্রান্তি দূর করতেই মূলত এই বৈঠক।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর আগে বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো বড় ধরনের সংস্কার চাইলে নির্বাচন হতে পারে ২০২৫ সালের জুনে, আর ছোট সংস্কারের ভিত্তিতে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। তবে ডিসেম্বরের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। তারা এই বছরের জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়। বিএনপির এই দাবিকে সমর্থন করছে আরও কিছু রাজনৈতিক দল, যেমন জামায়াতে ইসলামী, যারা চায় “সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ের” মধ্যে নির্বাচন।

অন্যদিকে, জুলাই আন্দোলন থেকে উদ্ভূত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ কয়েকটি দল বলছে, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কার, তারপর জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। এমনকি গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিও তোলা হচ্ছে কিছু মহলে।

এই পরিস্থিতিতে, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনার ঝড়। নির্বাচন কমিশন যদিও ডিসেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবু রাজনীতির মাঠে সম্ভাব্য আন্দোলনের ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, “১৭ বছর ধরে আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। এটিই আমাদের প্রধান ও পুরোনো দাবি। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকার এসে নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে। গণতন্ত্রের বিশ্বপ্রবাহের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ একটি পরিবেশ তৈরি করবে। এখন সেই বাস্তবতা তৈরি করতেই আমাদের দাবি স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে।”