ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ফিলিপাইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে

ভূমিকম্প (প্রতীকী ছবি)

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ফিলিপাইন। স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ এপ্রিল) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি থেকে প্রাথমিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউএসজিএস আরও জানিয়েছে, মিন্দানাও দ্বীপের উপকূলে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার (১৮ দশমিক ৬ মাইল)।

ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মাইতুম শহর থেকে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এএফপিকে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

মাইতুমের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের কর্মকর্তা গিলবার্ট রোলিফোর বলেন, ভূমিকম্পটি বেশ শক্তিশালী ছিল কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়া গত বছরের আগস্টে ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল বার্কেলোনা গ্রামে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে।

সে সময় বার্কেলোনার পার্শ্ববর্তী শহর লিঙিগের পৌরসভার কর্মকর্তা ইয়ান অনসিং বলেন, ভূমিকম্পটি বেশ শক্তিশালী ছিল। আমি ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে উঠে দেখি, ঘরের আসবাবপত্র কাঁপছে। ভূমিকম্পটি প্রায় ১০-১৫ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।

ভূমিকম্পটি অন্তত ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। তবে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিভিন্ন দেশে যে মাত্রার ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেই তুলনায় বার্কেলোনা ও তার আশপাশে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন সক্রিয় প্যাসিফিক ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত। এ কারণে দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিং অব ফায়ার হচ্ছে তীব্র ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতপ্রবণ একটি অঞ্চল যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ফিলিপাইন

আপডেট সময় : ১০:৩৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ফিলিপাইন। স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ এপ্রিল) দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি থেকে প্রাথমিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইউএসজিএস আরও জানিয়েছে, মিন্দানাও দ্বীপের উপকূলে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার (১৮ দশমিক ৬ মাইল)।

ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মাইতুম শহর থেকে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এএফপিকে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে ওই ভূমিকম্প থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

মাইতুমের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের কর্মকর্তা গিলবার্ট রোলিফোর বলেন, ভূমিকম্পটি বেশ শক্তিশালী ছিল কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়া গত বছরের আগস্টে ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল বার্কেলোনা গ্রামে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে।

সে সময় বার্কেলোনার পার্শ্ববর্তী শহর লিঙিগের পৌরসভার কর্মকর্তা ইয়ান অনসিং বলেন, ভূমিকম্পটি বেশ শক্তিশালী ছিল। আমি ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে উঠে দেখি, ঘরের আসবাবপত্র কাঁপছে। ভূমিকম্পটি প্রায় ১০-১৫ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।

ভূমিকম্পটি অন্তত ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। তবে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিভিন্ন দেশে যে মাত্রার ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেই তুলনায় বার্কেলোনা ও তার আশপাশে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন সক্রিয় প্যাসিফিক ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত। এ কারণে দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিং অব ফায়ার হচ্ছে তীব্র ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতপ্রবণ একটি অঞ্চল যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত।