৫ বছর সরকারে থাকার কথা আমি বলিনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

- আপডেট সময় : ০২:৫৫:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

পাঁচ বছর সরকারে থাকার বিষয়ে নিজের কোনো মন্তব্য ছিল না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, “এই কথাটি আমি বলিনি, বলেছেন জনগণ।”
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচন কবে হতে পারে, সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা আগেই বলছেন। আমার এ নিয়ে বলার কিছু নেই।”
এ সময় তিনি চট্টগ্রামের ডিসি হিলে পহেলা বৈশাখের আগের দিন হামলার ঘটনাকে “দুঃখজনক ও অনুচিত” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
সম্প্রতি সুনামগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় ভালো হয়েছে। সাধারণ মানুষ আমাকে রাস্তায় বলছে—আপনারা আরও পাঁচ বছর থাকেন।” এই বক্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা সমালোচনা শুরু হয়।
তবে এবার সচিবালয়ে স্পষ্ট করে তিনি জানালেন—“আমি নিজে কিছু বলিনি, শুধু সাধারণ মানুষের কথাই তুলে ধরেছি।”

এদিকে, অভিনেত্রী, মডেল ও মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান সমালোচনার জবাবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী বলেছেন, তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “কারো প্রতি বেআইনি কোনো আচরণ করা হয়নি। বিশেষ ক্ষমতা আইন রয়েছে বলেই তা প্রয়োগ হয়েছে। শুধু এই একটি ক্ষেত্রেই নয়, এই আইন বহুক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। এটি বেআইনি কিছু নয়।”
অন্যদিকে, ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক রাখার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছেন। বিচারপতি রাজিক আল জলিলের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ জানতে চেয়েছেন—কেন ৩০ দিনের আটকাদেশ অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।

এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, “মেঘনা আলমকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই প্রক্রিয়াটি সঠিক হয়নি। তবে একথা বলা যায় না যে, তার কোনো অপরাধ নেই। বিষয়টি তদন্তাধীন। যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”
প্রসঙ্গত, ৯ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে বিতর্কিত বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারের সময় কোনো নির্দিষ্ট অভিযোগ বা মামলা না থাকায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার জন্ম দেয় ঘটনাটি। বিশেষ করে অভিযোগ ছাড়াই আটক রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে।