ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সিনিয়র প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:২০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা-সজীব ওয়াজেদ জয়

দৈনিক দেশ আমার অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক দুটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

১৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের দাখিল করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে, আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের কর্মকর্তা মিলিয়ে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আরও ১৭ জনের নাম রয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য শফি উল হক।

দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসামিদের গ্রেফতারের অগ্রগতির প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীতে বাসা বা ফ্ল্যাট থাকার তথ্য গোপন করেন। পাশাপাশি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দামী কূটনৈতিক এলাকার একটি প্লট নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। এতে তিনি তার ওপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়, যা দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

এর আগে ১০ এপ্রিল শেখ হাসিনা, তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে এবং ১৩ এপ্রিল শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে একই আদালত।

মামলাগুলো দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ও সাধারণ জনগণের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শেখ হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আপডেট সময় : ০১:২০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক দুটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

১৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের দাখিল করা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে, আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও রাজউকের কর্মকর্তা মিলিয়ে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ আরও ১৭ জনের নাম রয়েছে।

যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম ও সাবেক সদস্য শফি উল হক।

দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, আসামিদের গ্রেফতারের অগ্রগতির প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীতে বাসা বা ফ্ল্যাট থাকার তথ্য গোপন করেন। পাশাপাশি পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের দামী কূটনৈতিক এলাকার একটি প্লট নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নেন। এতে তিনি তার ওপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়, যা দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

এর আগে ১০ এপ্রিল শেখ হাসিনা, তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে এবং ১৩ এপ্রিল শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকসহ মোট ৫৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে একই আদালত।

মামলাগুলো দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ও সাধারণ জনগণের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।