দেশবাসীকে প্রধান উপদেষ্টার পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা

- আপডেট সময় : ১০:০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার (১৩ এপ্রিল) এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি বলেন, “শুভ নববর্ষ ১৪৩২। বাংলা নববর্ষ বাঙালির ঐক্য ও মহাপুনর্মিলনের দিন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালি এই দিনটিকে নবচেতনা ও নতুন অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে উদযাপন করে আসছে। আমরা এই দিনে পুরোনো দুঃখ, হতাশা ও ক্লান্তিকে পেছনে ফেলে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব, আনন্দ এবং ভালোবাসার চেতনায় একত্রিত হই।”
তিনি বলেন, মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের সূচনা হয়েছিল। কৃষিকাজকে সহজ ও সুশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে তিনি বাংলা বছরকে ‘ফসলি বছর’ হিসেবে গণনা শুরু করেন। এই ঐতিহ্য সময়ের পরিক্রমায় বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষ ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
নতুন বছরের প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে গিয়ে আসুন আমরা অতীতের কষ্ট ও দুর্ভাগ্য ভুলে নতুন আশায় পথচলা শুরু করি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান একটি বৈষম্যমুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, সুখী, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ লক্ষ্য পূরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।”
তিনি নববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত সব আয়োজনের সাফল্য কামনা করেন।

ঢাবিতে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) আয়োজন করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এ বছরের প্রতিপাদ্য— “নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান”।
সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, দোয়েল চত্বর, বাংলা একাডেমি হয়ে পুনরায় চারুকলায় গিয়ে শেষ হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র নীলক্ষেত ও পলাশী মোড় দিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করা যাবে। শোভাযাত্রার শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য বজায় রাখতে আশপাশ দিয়ে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদেরকে নিজ নিজ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বরাবরের মতো এবারও ঢাবির ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে বর্ষবরণ শোভাযাত্রায় সর্বজনীন অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। লোক-ঐতিহ্য ও ২০২৪ সালের চেতনা ধারণ করে আয়োজিত এ শোভাযাত্রায় অংশ নেবে ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন দেশের অতিথিরা।
এবারের শোভাযাত্রায় থাকবে সাতটি বড়, সাতটি মাঝারি এবং সাতটি ছোট মোটিফ— যা বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে বর্ষবরণ আয়োজনে রঙ ছড়াবে।